মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি (Chief Justice of India) ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud) স্ত্রীকে নিয়ে ট্যুইটের জেরে ‘সাইবার অভিযোগ’ দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত চিকিৎসকের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের স্ত্রী কল্পনা দাসের পারিবারিক সম্পর্ক উল্লেখ করে সম্প্রতি একটি ট্যুইট করা হয়। যা পুরোপুরি ভুল এবং মিথ্যা বলে জানানো হয়েছে। আরজি কর কাণ্ডে তরুণী পড়ুয়া-চিকিৎসক খুনের ঘটনায় সামনে এসেছে দুর্নীতির পাহাড়। আর সেই দুর্নীতিতে বারবারই উঠে এসেছে 'উত্তরবঙ্গ লবি'-র কথা। চিকিৎসক মহলের একটা বড় অংশের তরফে দাবি করা হয়েছে, এই 'লবি'ই নাকি বাংলার স্বাস্থ্যক্ষেত্রের অনেক ক্ষতি করে ফেলেছে। এই পরিস্থিতিতে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে একটি নতুন দাবি উঠে এসেছে, যে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের সঙ্গে পারিবারিক যোগ রয়েছে উত্তরবঙ্গ লবির 'মাথা' হিসেবে চিহ্নিত এসপি দাসের!
কী বলা হয়েছে ভুয়ো ট্যুইটে
ট্যুইটারে-ফেসবুকে ভাসছে, মমতা-অভিষেকের সঙ্গে 'ঘনিষ্ঠ' যোগ রয়েছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের। এমনকী, বিচারপতির স্ত্রীর নামেও কিছু দাবি করা হচ্ছে নানা ভাইরাল পোস্টে। বলা হচ্ছে, সম্পর্কে জাস্টিস চন্দ্রচূড়ের স্ত্রী কল্পনা দাসের কাকা হন এসপি দাস। এখানেই নয়, রাজ্য সরকারের সঙ্গে প্রধান বিচারপতির যোগ রয়েছে বলেও দাবি করা হয়। এই ট্যুইট নিয়ে ইতিমধ্যেই দিল্লির সাইবার সেলে অভিযোগ জানানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রেজিস্ট্রির তরফে। বলা হয়েছে, 'এই ট্যুইট উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অসত্য। এটি বিচারব্যবস্থার অবমাননা করছে।'
আরও পড়ুন: রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি! অস্থিরতার জেরে চরম অর্থনৈতিক সংকটের মুখে বাংলাদেশ
আইনি পদক্ষেপ
কয়েক দিন ধরেই একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দেখা গিয়েছে, জাস্টিস চন্দ্রচূড়ের সঙ্গে এসপি দাসের 'পারিবারিক যোগ' থাকার কারণেই, 'ষড়যন্ত্র' করে আরজি কর নিয়ে সুয়ো মোটো মামলা করেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এমনকী, ৫ সেপ্টেম্বরের নির্ধারিত শুনানিও নাকি এই জন্যই পিছিয়ে গিয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় এসব ছড়াতে দেখে যে কেবল দিল্লিতে অভিযোগ দায়ের হয়েছে তাই নয়, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তরফেও নেটিজেনদের সতর্ক করা হয়েছে এই বিষয়ে। প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, 'বাকস্বাধীনতার সুযোগ নিয়ে মিথ্যাচার ছড়ানো যায় না। বিশেষ করে শীর্ষ আদালতের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ছড়ানো হলে তা বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য। এই ক্ষেত্রে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ করা হবে। যারা বিচার ব্যবস্থাকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছে, তাদের নিস্তার দেওয়া হবে না।'
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours