মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘দ্রুত পোস্টমর্টেম না হলে রক্তগঙ্গা বয়ে যাবে!’’ আরজি করের ফরেন্সিক মেডিসিনের অধ্যাপক অপূর্ব বিশ্বাসকে ঠিক এই ভাষায় হুমকি দিয়েছিলেন স্থানীয় এক প্রাক্তন কাউন্সিলর। এমনই অভিযোগ ওই চিকিৎসকের। আরও জানান, নিজেকে নির্যাতিতার ‘কাকা’ পরিচয় দিয়ে ফোন করেন ওই কাউন্সিলর।
পোস্টমর্টেম না হলে রক্তগঙ্গা বয়ে যাবে (RG Kar)
আরজি করকাণ্ডে (RG Kar) ফের সিবিআই দফতরে তলব করা হয়েঠিল চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস, অভীক দে এবং সৌরভ পালকে। সেইসঙ্গে ডাকা হয়েছিল চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাসকেও। নির্যাতিতার ময়না তদন্ত যে-তিন চিকিৎসক করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে একজন হলেন তিনি। ফরেন্সিক মেডিসিনের অধ্যাপক অপূর্ববাবু নির্যাতিতার ময়না তদন্ত করা নিয়ে রীতিমতো বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন। জানালেন, তাঁর ওপর কীভাবে দ্রুত পোস্টমর্টেম করার জন্য চাপসৃষ্টি করা হয়েছিল।
সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস বলেন, এক প্রাক্তন কাউন্সিলর সেদিন (৯ অগাস্ট) তড়িঘড়ি ময়নাতদন্ত করতে চাপ দিয়েছিলেন। নিজেকে নির্যাতিতার (RG Kar) কাকা পরিচয় দেওয়া ওই প্রাক্তন কাউন্সিলর সেখানে ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ওইদিন দ্রুত পোস্টমর্টেম না হলে রক্তগঙ্গা বয়ে যাবে। তবে, তিনি রক্তের সম্পর্কের কেউ নন। বাইরের কেউ। বলেছিল ওই দিনই পোস্টমর্টেম করতে হবে। তিনি হলেন চিকিৎসকের বাড়ি যেখানে সেখানকার প্রাক্তন সিপিএম কাউন্সিলর। এনিয়ে অভিযুক্ত সেই কাউন্সিলর সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘এবার আমি এফআইআর করব। পুরো সাজিয়ে বলা হচ্ছে।’’ এদিকে গোটা ঘটনায় নানা প্রশ্ন উঠছে। সিপিএমের প্রাক্তন কাউন্সিলর বলে তিনি কোনও উল্লেখ করেননি। তবে ওখানকার প্রাক্তন কাউন্সিলর বলতে ওই সিপিএম কাউন্সিলর রয়েছেন। তবে, তাঁর কথাই ওই চিকিৎসক বলছেন কি না তা নিশ্চিত নয়। কারণ, ওই চিকিৎসক সরাসরি কারও নাম উল্লেখ করেননি।
আরও পড়ুন: তিরুপতির লাড্ডুর ঘি কীভাবে তৈরি হত? জানতে উচ্চপর্যায়ের সিট গঠন চন্দ্রবাবুর
হুমকি কেন মানলেন চিকিৎসকরা, উঠছে প্রশ্ন
এমনিতেই নির্যাতিতার ময়না তদন্ত নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠেছে। যে-বিষয়টি নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোটও। এবার বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস। কিন্তু, সেইসঙ্গে এই প্রশ্নও উঠছে যে, কেউ এমন হুমকি দিলেও সেই দাবি কেন মেনে নিয়েছিলেন ময়না তদন্তকারী চিকিৎসকরা। এদিকে রবিবার টালা থানার সাব ইনস্পেক্টর চিন্ময় বিশ্বাসকেও তলব করেছিল সিবিআই (CBI)। দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকেও। প্রসঙ্গত, আরজি করের (RG Kar) মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার থেকে তাঁর দেহ দাহ করা। গোটা প্রক্রিয়ায় একটা অস্বাভাবিক তাড়াহুড়ো করা হয়েছিল। এমনটাই দাবি করা হয়েছিল বিভিন্ন মহল থেকে। সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে সিবিআই।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours