মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্যাতিতার কাকুর পরিচয় দিয়ে দ্রুত ময়নাতদন্ত না করলে রক্ত গঙ্গা বইয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন প্রাক্তন কাউন্সিলর সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়। এমনই অভিযোগ করেছেন আরজি কর মেডিক্যালের ফরেন্সিক বিভাগের অধ্যাপক অপূর্ব বিশ্বাস। ময়না তদন্তকারী এই চিকিৎসকের দাবিকে হাতিয়ার করে ফের তৃণমূলকে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
মমতার নির্দেশে শ্মশানে বিধায়ক, কাকুর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন (Suvendu Adhikari)
এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হলেন শুভেন্দু। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি (Suvendu Adhikari) লিখলেন, 'জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক বিস্ফোরক তথ্য সামনে এনেছেন। দাবি করেছেন, নির্যাতিতা চিকিৎসকের কাকু পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি হুমকি দেয়, ময়নাতদন্ত দ্রুত না করলে রক্তগঙ্গা বইবে। ওই ব্যক্তি পানিহাটি পুরসভার প্রাক্তন সিপিএম কাউন্সিলর, যিনি পরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন এবং পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষের ঘনিষ্ঠ। সবাই জানে চিকিৎসকের দেহ তাড়াহুড়ো করে সৎকার করা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শ্মশানে হাজির ছিলেন পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক। এটা আরও আশ্চর্যের যে, সঞ্জীব মুখোপাধ্যায় নিহতের আত্মীয় না হয়েও শ্মশানের নথিতে সই করেছিলেন।'
Forensic Doctor Apurba Biswas, who was a member of the team which conducted the post-mortem on the 31-year-old Junior Lady Doctor; raped and murdered at RG Kar Medical College, was summoned by the CBI.
— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) September 23, 2024
While leaving after the questioning, he made a explosive revelation to the… pic.twitter.com/XCrWYQ2gbV
কে এই পানিহাটির কাকু?
কালীঘাটের কাকুর পর সম্প্রতি বঙ্গ রাজনীতিতে আরও এক কাকুর আবির্ভাব ঘটেছে। কেউ তাঁকে বলছেন, 'শ্মশানঘাটের কাকু', কেউ আবার বলছেন 'পানিহাটির কাকু'। এই কাকু আরজি করের (RG Kar) নির্যাতিতার পাশের বাড়ির বাসিন্দা। তাঁর নাম সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়। সঞ্জীবকে 'কাকু' বলেই সম্বোধন করতেন নির্যাতিতা। এক সময়ে তিনি ছিলেন সিপিএমের কাউন্সিলর। তার পর ভোটে হেরে গিয়ে বেশ কয়েক বছর 'দলহীন'। ২০১৯ সালে যোগ দেন তৃণমূলে। সেই যোগদান পর্বে ছিলেন পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ (নান্টু) এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। প্রথম জনকে আরজি করের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় সোমবার জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। আর দ্বিতীয় জন খাদ্য দুর্নীতি মামলায় আপাতত জেলে। সঞ্জীব পেশায় ব্যবসায়ী। বাংলার বাইরেও তাঁর ব্যবসার কাজ চলে। জানা গিয়েছে, মূলত বৈদ্যুতিক প্রকল্পে ঠিকাদারি করেন তিনি। তৃণমূল বিধায়ক ঘনিষ্ঠ হিসেবে তিনি পরিচিত।
আরও পড়ুন: তিরুপতির লাড্ডুর ঘি কীভাবে তৈরি হত? জানতে উচ্চপর্যায়ের সিট গঠন চন্দ্রবাবুর
কী বললেন প্রাক্তন কাউন্সিলর?
জানা গিয়েছে, ৯ অগস্ট রাতে পানিহাটির শ্মশানঘাটে অনেকের সঙ্গে ছিলেন সঞ্জীব। যেমন ছিলেন বিধায়ক নির্মলও। ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে, নির্যাতিতার দেহ 'তড়িঘড়ি' দাহ করার জন্য সেই রাতে পরিবারের উপর 'চাপ' তৈরি করা হয়েছিল। সঞ্জীব বলেন, "সেই সময়ে আমার এ সব কথা বলার অবস্থাই ছিল না। অত পুলিশ, স্বাস্থ্য দফতরের শীর্ষ আধিকারিক, অত ছাত্রছাত্রী- আমি ময়নাতদন্ত কখন হবে কি হবে না, সে কথা বলার আমি কে? আমাকে সিবিআই ডাকলে সমস্ত বিষয়টি বলব।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours