Durga Puja 2024: ৫০০ বছরের প্রাচীন রানাঘাটের ঘোষবাড়ির দুর্গাপুজোয় সাবেকিয়ানার ছোঁয়া

Ranaghat: একটা সময় দুর্গাপুজোয় ৫১টি পাঁঠা ও মোষ বলি হত! ঘোষবাড়ির দুর্গাপুজো করছেন ২৯ তম বংশ!
Ranaghat_Durga
Ranaghat_Durga

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রানাঘাট শুধু নয়, নদিয়ার প্রাচীন পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম ঘোষবাড়ির দুর্গাপুজো। ১৫২০ খ্রিস্টাব্দে চৈতন্যচরণ ঘোষ হুগলি জেলার আকনা থেকে আসেন ব্রহ্মডাঙ্গায়, যা পরে রানাঘাট নামে পরিচিত হয়। এখানে তিনি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন এবং দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2024) সূচনা করেন। তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। তিনি মারা যাওয়ার পর তাঁর ছোট ভাই মকারন্ধ ঘোষের বংশধররা দুর্গাপুজো করে আসছেন। বর্তমানে ২৯ তম বংশপরম্পরায় এই পুজো হচ্ছে। এই বংশের ২৯ তম পুরুষ রণজিৎ ঘোষ বলেন, দুর্গাপুজো প্রথম শুরুর যে মাটি দিয়ে পাটা তৈরি হয়েছিল, সেই মাটি দিয়ে আজও পাটা তৈরি হয়ে আসছে। তুলে রাখা হয় কিছু মাটি। সেই মাটি দিয়েই পাটা তৈরি হয় বছরের পর বছর। এই ভাবে হয়ে আসছে দেবীমূর্তি।

১৯৩৪ সালে পাঁঠাবলি বন্ধ (Durga Puja 2024)

৫০৪ বছর ধরে হয়ে আসছে এই পুজো। এ বছর পড়ল ৫০৫ তম বছরে। একটা সময় ৫১টি পাঁঠা ও মোষ বলি হত। ১৯৩৪ সালে পাঁঠাবলি বন্ধ হয়ে যায় স্বপ্নাদেশে এবং ঘোষ বংশের রামগোপাল ঘোষ মারা যান, ক্ষয়ক্ষতিও হয়। তার পর থেকে আর বলি হয়নি। পঞ্চমীতে বোধন শুরু হয়, ষষ্ঠীতে নয়। তার পর অধিবাসের সময় রক্ষা প্রদীপ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। প্রদীপ জ্বালান এই বংশের পুরুষ, যে প্রদীপ নেভে না। বিসর্জন হয়ে গেলে পাঠ ভেঙে সেই রক্ষা প্রদীপের থেকে প্রদীপ জ্বালিয়ে বাড়ির বিভিন্ন ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই প্রদীপের আলোতে ১০৮বার দুর্গা নাম লেখা হয় কলাপাতার ওপর। তার পর চূর্ণী নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়, নয়তো তুলসী তলায় দেওয়া হয়। এরপর মুড়ি-মুড়কি, পকান্ন দেওয়া হয় (Ranaghat)।

দশমীর দিন শুক্ত, মাছ, ভাত খাইয়ে বরণ

নবমীর দিন (Durga Puja 2024) থোর ও মোচার ভোগ দেওয়া হয়। পাশাপাশি কাদা খেলা হয়। রান্না করা ভোগ অষ্টমী দিন দেওয়া হয়। আর অন্য দিনগুলিতে মশলা, চাল ইত্যাদি কাঁচা ভোগ দেওয়া হয়। দশমীর দিন শুক্ত, মাছ, ভাত খাইয়ে বরণ করা হয়। ওই দিন টাটকা ফুলে পুজো হয় না, বাসি ফুলে পুজো হয়। এই প্রাচীন পুজো দেখতে  দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসেন, পাশাপাশি এখানে পুজো ও অঞ্জলি দেন অনেকে। রানাঘাটের ঘোষবাড়ির পুজো আজও তার ঐতিহ্য বহন করে চলেছে (Ranaghat)। 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles