মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ (Cyclone Dana) আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় শঙ্কিত বন্দর কর্তৃপক্ষ। বুধবার রাত থেকে হলদিয়া বন্দরে (Haldia Port) বন্ধ রাখা হয়েছে অপারেশনের কাজ। বন্দরের বড় বড় ক্রেনগুলির অপারেশন বুধবার দুপুরের পরই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরপর ক্রেনগুলির লম্বা আর্ম নামিয়ে সেগুলিকে লোহার খুঁটির সঙ্গে বাঁধা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় দানা-র মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে হলদিয়া বন্দরে (Haldia Port)। তাই আগেভাগেই শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হচ্ছে ক্রেন। সুরক্ষিত জায়গায় রাখা হচ্ছে জাহাজ ও ভেসেলগুলিকে। সতর্ক দমদম বিমানবন্দর (Kolkata Airport) কর্তৃপক্ষও। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে বন্ধ রাখা হচ্ছে বিমানবন্দর।
বন্ধ বন্দরের কাজ
হলদিয়া বন্দর (Haldia Port) কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) গতিপথের উপর নজর রাখতে বুধবার সন্ধ্যা থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের সাইক্লোনের সতর্কবার্তা দেখে আপাতত ২৫ অক্টোবর শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত হলদিয়া বন্দরের সমস্ত ধরনের অপারেশনের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই বন্দরের লকগেটের অপারেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ঝড়ের আশঙ্কায় আগামী দু’দিন বন্দরে জাহাজ চলাচল বা পণ্য ওঠানামার কাজ কার্যত বন্ধ থাকবে।
ডক এরিয়ায় সুরক্ষিত জাহাজ
ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) জন্য বন্দরের ডক এলাকায় অপারেশনের ক্ষেত্রে একাধিক সতর্কতা জারি করেছে হলদিয়া বন্দর (Haldia Port) কর্তৃপক্ষ। ডক এরিয়ার মধ্যে মোট ১৬টি ছোট বড় জাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে ৫টি কোস্টগার্ডের নজরদারি ভেসেল ও জাহাজ রয়েছে। এছাড়া ৫টি বার্জও ডকে রাখা রাখা হয়েছে। ঝড়ের হাত থেকে বাঁচতে ডক এরিয়ায় নিরাপদ জায়গায় এগুলি সুরক্ষিত রাখা হয়েছে। বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদি নদীর তীরে উপকূলরক্ষী বাহিনীর জেটি থেকে ভেসেল ও জাহাজগুলিকে বুধবার বিকেলে দ্রুততার সঙ্গে সরিয়ে আনা হয়েছে। ওই ভেসেলগুলি এদিন দুপুর পর্যন্ত নদী ও সমুদ্রে মাইকিং করে মৎস্যজীবীদের ডাঙায় ফেরার বার্তা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: দ্রুত এগিয়ে আসছে 'দানা', কলকাতায় জারি কমলা সতর্কতা, চালু হেল্পলাইন
সতর্ক বিমানবন্দর
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র (Cyclone Dana) আশঙ্কায় আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে দমদম বিমানবন্দরও (Kolkata Airport)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হচ্ছে বিমানবন্দর। ওই সময়ে বিমানবন্দরে কোনও বিমান ওঠানামা করবে না। কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে সমাজমাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়ার আশঙ্কার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারার মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে ‘দানা’। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলার উপকূলীয় অঞ্চল তো বটেই, কলকাতাতেও ঝড়-ঝঞ্ঝার আশঙ্কা রয়েছে। প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতায়। সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝড় বইতে পারে শহরে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours