মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় দানা (Cyclone Dana) কাঁপাল বাংলা ও ওড়িশা (Odisha)। গত কয়েক বছরে ঘূর্ণিঝড় আর ওড়িশা যেন সমার্থক হয়ে উঠেছে। বারবার ওড়িশা উপকূল তছনছ করেছে বিভিন্ন সাইক্লোন। ঘটেছে প্রাণহানি। তবে এবার, ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে ওড়িশায় বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হলেও, কোনও প্রাণহানি ঘটেনি। আগেভাগে সতর্কতা অবলম্বন করে উপকূলভাগ থেকে মানুষদের নিরাপদ দূরত্বে শরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল রাজ্যের বিজেপি সরকার। সজাগ ছিল প্রশাসন। তাই এড়ানো গিয়েছে হতাহতের ঘটনা। ওড়িশা সরকারের ‘জিরো ক্যাজুয়ালটি মিশন’ সফল হয়েছে, বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি (Mohan Charan Majhi)।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সক্রিয় সরকার
শুক্রবার সকালে দুর্যোগ-পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ওড়িশার (Odisha) মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Dana) মোকাবিলায় তাঁর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার কী কী পদক্ষেপ করেছে, তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জানানো হয়েছে। কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ প্রচেষ্টায় ‘জিরো ক্যাজুয়ালটি মিশন’ সফল হয়েছে। এদিন সকাল সাড়ে ৭টায় ঘূর্ণিঝড়টির স্থলভাগে ঢোকার প্রক্রিয়া (ল্যান্ডফল) শেষ হয়। ‘ল্যান্ডফলের’ এই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী (Mohan Charan Majhi)। তিনি বলেন, “প্রশাসনিক নজরদারি এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির কারণে কারও মৃত্যু হয়নি। সরকারের লক্ষ্য ছিল, আমরা কাউকে মারা যেত দেব না। আমরা কথা রাখতে পেরেছি।”
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে সেনার গাড়িতে হামলা! গুলমার্গে শহিদ দুই জওয়ান সহ ৪
নিরাপদ আশ্রয়ে ৫.৮ লক্ষ মানুষ
ওড়িশার (Odisha) মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি জানিয়েছেন, মোট ৫.৮ লক্ষ মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার জন্য বিপর্যয় (Cyclone Dana) মোকাবিলা দফতরের ৩৮৫টি দল কাজ করেছে৷ স্থানান্তরিতদের মধ্যে ছিলেন ৬০০০ সন্তানসম্ভবাও। তাঁদের তড়িঘড়ি বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হওয়া ১৬০০ জন প্রসূতি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী (Mohan Charan Majhi)। ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রাণহানি রুখতে আগেই ৮৩২২টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রেখেছিল ওড়িশা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার মধ্যে দুর্গতদের অন্তত ৬০০৮টি সেন্টারে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার রাত সওয়া ১১টা নাগাদ ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারার মধ্যবর্তী হাবালিখাটি নেচার ক্যাম্পের কাছে স্থলভাগে আছড়ে পড়েছিল ‘দানা’। এর জেরে বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছে ওড়িশার ধামারা। প্রচুর গাছ ভেঙে পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সকাল থেকে সেই গাছ কেটে রাস্তা সাফ করার কাজে নেমে পড়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ভুবনেশ্বরের কন্ট্রোল রুমে বসে পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি (Mohan Charan Majhi)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours