India China Relation: ভারত-চিন সম্পর্ক এখন একটি নয়া সূচনাবিন্দুতে পৌঁছেছে, বলছে বেজিং

S Jaishankar: গলছে ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ, সিদ্ধান্ত দুই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে...
jaishankar-wangwi-133
jaishankar-wangwi-133

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গলওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সেনা সংঘর্ষ এখন অতীত। বরফ গলছে ভারত-চিন সম্পর্কের (India China Relation)। দুই দেশের মধ্যে ফের চালু হবে সরাসরি বিমান চলাচল। কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা ফের চালু করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে দুই দেশের। চিনা বিদেশমন্ত্রকের দাবি, ভারত-চিন সম্পর্ক এখন একটি নয়া সূচনাবিন্দুতে পৌঁছেছে।

জয়শঙ্কর-ওয়াং ই বৈঠক (India China Relation)

ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওতে চলছে জি-২০ সম্মেলন। এই সম্মেলনের ফাঁকে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। সেখানেই দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফের উড়ান চালু এবং আবার কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা চালু নিয়ে আলোচনা করেছেন তাঁরা। পূর্ব লাদাখের বিতর্কিত ডেপসাং এবং দেমচোক এলাকায় সেনা বিচ্ছিন্নকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর অনুষ্ঠিত হল এই বৈঠক। দুই দেশের দুই বিদেশমন্ত্রী বলেন, “এই পদক্ষেপ শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।”

বন্ধ ছিল উড়ান, তীর্থযাত্রাও

করোনা অতিমারি পর্বে ২০২০ সালে বন্ধ হয়ে যায় ভারত ও চিনের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা। কোভিড বিধি শিথিল হলেও, সরাসরি বিমান চলাচল আর শুরু হয়নি। ওই বছর মে মাসে লাদাখে উত্তেজনা শুরু হয় দুই দেশের (India China Relation) মধ্যে। পরের মাসে গলওয়ানে সংঘর্ষ ঘটে। শহিদ হন ২০ জন ভারতীয় সেনা। ক্ষতি হয় চিনের লালফৌজেরও। যদিও তাদের ঠিক কতজন সেনা হতাহত হয়েছে, তা সরকারিভাবে জানায়নি বেজিং। তবে, বেসরকারি সূত্রের দাবি অনুযায়ী, সংখ্যাটি ৪০-এর বেশি। এর পরেই সীমান্তে উভয় পক্ষের সেনা মোতায়েন বৃদ্ধি পায়। উত্তেজনা প্রশমনে সামরিক পর্যায়ের আলোচনাও শুরু হয়। একটি নোটে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, ফ্লাইট এবং তীর্থযাত্রা ফের শুরু করা, সীমান্ত পেরনো নদীগুলোর তথ্য ভাগাভাগি এবং মিডিয়া এক্সচেঞ্জের বিষয়ে আলোচনা করেছেন জয়শঙ্কর এবং ওয়াং।

আরও পড়ুন: দোরগোড়ায় তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ! পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের নীতি শিথিল করলেন পুতিন, কী কারণ?

ভারতের একটি ধারাবাহিক বিদেশনীতি রয়েছে বলে উল্লেখ করে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “আমরা মাল্টিপোলার বিশ্বের প্রতি দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যার মধ্যে একটি মাল্টিপোলার এশিয়াও অন্তর্ভুক্ত। ভারতের ক্ষেত্রে, এর বিদেশনীতি নীতিগত এবং ধারাবাহিক, যা স্বতন্ত্র চিন্তা এবং পদক্ষেপের দ্বারা চিহ্নিত। আমরা আধিপত্য প্রতিষ্ঠার একতরফা পন্থার বিরোধী। ভারত তার সম্পর্ককে অন্য দেশের দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে দেখে না (India China Relation)।”

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles