মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাণিনির (Panini) অষ্টাধ্যায়ী সংস্কৃত সাহিত্যের একটি অতি মূল্যবান গ্রন্থ। এই বইতে রয়েছে সংস্কৃত ব্যাকরণের বিভিন্ন নিয়ম, সংস্কৃত শব্দের বিশ্লেষণ ইত্যাদি। সংস্কৃত ব্যাকরণের এই গ্রন্থে বিভিন্ন ব্যাকরণগত সমস্যার সমাধান করলেন এক ভারতীয় গবেষক। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের, সেন্ট জনস কলেজের এশিয়ান এবং মিডল ইস্টার্ন স্টাডিজের পিএইচডি স্কলার ওই ছাত্রের নাম ঋষি অতুল রাজপোপাট।
পাণিনির (Panini) অষ্টাধ্যায়ীতে ব্যাকরণের বিভিন্ন নিয়ম রয়েছে। মূল শব্দ থেকে কীভাবে নতুন শব্দ উৎপন্ন হবে তারও ব্যাখ্যা আছে ওই গ্রন্থে। যত গোলযোগ এখানেই । ব্যাখা নিয়ে দ্বন্দের শেষ নেই। এক এক পন্ডিতের এক এক রকমের মত রয়েছে। পাণিনি নিজেও তাঁর গ্রন্থে কিছু মেটারুল লিখে গেছেন, দুটি নিয়মের মধ্যে দ্বন্দ হলে কোনটিকে গ্রহণ করতে হবে। তবে সেটা নিয়েও ধোঁয়াশার মধ্যে এতদিন থাকতেন বিভিন্ন পন্ডিতরা। এবার এমনই কিছু দ্বন্দের শেষ করলেন ঋষি অতুল। ব্যাখা করলেন যুক্তি দিয়ে।
ঋষি অতুলের আগে অষ্টাধ্যায়ী নিয়ে গবেষণা করে গেছেন,মহর্ষি পতঞ্জলি, বামন, কাত্যায়নের মতো বিখ্যাত প্রাচীন ভারতীয় ঋষিরা। তাঁরাও তাঁদের মতামত রেখেছেন দুটি নিয়মের মধ্যে দ্বন্দ হলে কী করতে হবে। এবিষয়ে ঋষি অতুল বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, " মহর্ষি পতঞ্জলি এবং কাত্যায়ন দুজনেই ব্যাকরণের বিভিন্ন জটিল বিষয় নিয়ে তাঁদের নিজস্ব ব্যাখা দিয়েছেন,আমি গবেষণা করতে এসে দেখলাম,তাঁদের যুক্তির সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রে আমার ব্যাখার মিল রয়েছে"।
ঋষি অতুলের গবেষণার একটি ছোট্ট উদাহরণ
ঋষি অতুলের গবেষণা এবার আমরা একটি উদাহরণের সাহায্যে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করব। ধরা যাক একটি সংস্কৃত বাক্য "jñānaṁ dīyate guruṇā" অর্থাৎ গুরু জ্ঞান দেয়। এবার নিয়মের দ্বন্দ শুরু হয় guruṇā শব্দের গঠন নিয়ে। যার অর্থ হল গুরুর দ্বারা । guru + ā এই দুটি নিয়ে guruṇā শব্দ তৈরি হচ্ছে। শব্দ গঠনের ক্ষেত্রে পাণিনির নিয়ম সবসময় ডানদিকের শব্দের ক্ষেত্রে কাজ করে। এটাই হল ঋষির মূল ব্যাখা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours