Uttar Pradesh: মাত্র পাঁচ টাকার বিনিময়ে প্রতিদিন দুঃস্থ মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিচ্ছেন নয়ডার এই যুবক!

Noida Hospital: মনুষ্যত্বের আরও এক উদাহরণ! নজির গড়লেন বিদিত শর্মা
WhatsApp_Image_2024-07-28_at_342.35_PM
WhatsApp_Image_2024-07-28_at_342.35_PM

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র পাঁচ টাকার বিনিময়ে প্রতিদিন ৭০০ জনেরও বেশি লোকের মুখে অন্ন তুলে দিয়ে নজির গড়লেন বিদিত শর্মা। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) নয়ডা জেলার ৩৩ বছর বয়সী এই যুবক, নয়ডার সরকারি হাসপাতালের (Noida Hospital) বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা রোগীর পরিবার ও দুঃস্থ মানুষদের মুখে অন্ন তুলে দেন প্রতিদিন।  

মাত্র ৫ টাকার বিনিময়ে মিলছে অন্ন (Uttar Pradesh) 

জানা গিয়েছে, মাত্র পাঁচ টাকার বিনিময়ে বাড়িতে তৈরি রান্না করা রাজমা চাওয়াল, ছোলে চাওয়াল এবং ডাল-ভাত সরবরাহ করেন বিদিত। যেসব দুঃস্থ মানুষেরা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসেন, তাঁদের জন্যই মূলত এই ব্যবস্থা করেছেন তিনি। এবার হয়তো কেউ ভাবতেই পারেন যে, মাত্র ৫ টাকাই বা নেওয়ার দরকার কি, বিনামূল্যে এই পরিষেবা দিতে পারতেন তিনি। এ প্রসঙ্গে ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও শেয়ার করে বিদিত জানিয়েছেন, ''আমি কখণও চাইনি যে কোনও মানুষ মনে করুক যে সে বিনামূল্যে খাবার পাচ্ছে, তাই খুব সামান্য পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে হলেও তাঁরা যেন এটা বুঝতে পারেন যে, বিনামূল্যে নয় বরং অর্থের বিনিময়ে তাঁরা এই খাবার পাচ্ছেন।'' 

 
 
 
 
 
View this post on Instagram
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 

A post shared by The Better India (@thebetterindia)

কী জানিয়েছেন বিদিত শর্মা? 

বর্তমানে দশজনের একটি দল নিয়ে প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার প্লেট পরিবেশন করা চিন্তাভাবনা করছেন বিদিত। তবে শুধু নয়ডার (Uttar Pradesh)  এই হাসপাতালই নয়, গোটা নয়ডা জুড়ে বিভিন্ন হাসপাতালে এই পরিষেবা দেওয়ার কথা ভাবছেন তিনি। তাঁর লক্ষ্য একটাই, যাঁরা প্রতিদিন কঠোর পরিশ্রম করেন এবং দুবেলা দুমুঠো অন্নর জোগান করতে পারেন না, তাঁদের জন্য স্বাস্থ্যকর, বাড়িতে রান্না করা খাবার প্রদান করা। এ প্রসঙ্গে বিদিত বলেন, '' আমি যখন হাসপাতালের (Noida Hospital) বাইরে এই খাবার পরিবেশন করি, তখন সেই দুঃস্থ মানুষের মুখে হাসি এবং কৃতজ্ঞতা দেখে আনন্দে মন ভরে ওঠে। আমি সবসময় চাই আসলেই যারা দুঃস্থ তাদের মুখে যেন আমি অন্ন তুলে দিতে পারি।''

আরও পড়ুন: আয়োজক শহর থেকে ১৬ হাজার কিলোমিটার দূরে হবে অলিম্পিক্সের এই ইভেন্ট! জানেন কারণ?

জানা গিয়েছে, বিদিত একটি অটোমোবাইল কোম্পানিতে কাজ করেন। এই পরিষেবার পাশাপাশি তিনি একটি স্ট্রে ফাউন্ডেশনও চালান। যার মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় তিন হাজারেরও বেশি প্রাণীকে তিনি খাওয়ান এবং তাদের চিকিৎসা ভার বহন করেন। আসলে আমাদের সমাজে বিদিতের মতো মানুষেরই প্রয়োজন। এমন মনের মানুষই তো সমাজকে আরও সুন্দর করে গড়ে তোলে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles