Murshidabad: মমতার জেলা সফরের দিনই এলোপাথাড়ি গুলি করে তৃণমূল কর্মীকে খুন

মুর্শিদাবাদে তৃণমূল নেতার পর এবার তৃণমূল কর্মী! গুলিতে ঝাঁঝরা করল দুষ্কৃতীরা
Untitled_design_-_2024-02-01T104809771
Untitled_design_-_2024-02-01T104809771

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহরমপুরের পর এবার মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) থানার আমানিগঞ্জ। বুধবার রাতে এলোপাথাড়ি গুলিতে তৃণমূল কর্মীকে ঝাঁঝরা করে দিল দুষ্কৃতীরা। মৃতের নাম শ্যামবাবু রায়। সব থেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, বুধবারই জেলা সফরে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক বৈঠক সেরে চলে যাওয়ার পর রাতেই তৃণমূল কর্মীকে খুন করা হয়। আর অভিযোগের তির তৃণমূলের আরেক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। তারা এখন নির্দল করে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কিছুদিন আগে বহরমপুরে তৃণমূল নেতা সত্যেন চৌধুরীকে গুলি করে খুন করা হয়। তারপরই ফের তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনা ঘটল।

ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) আমানিগঞ্জ এলাকায় তৃণমূল কর্মী শ্যামবাবু রায়ের সঙ্গে তৃণমূলের আর এক গোষ্ঠীর বিবাদ চলছিল। টিকিট না পেয়ে তারা নির্দল হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়েছিল। আর শ্যামবাবু তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে ভোটে খেটেছিলেন। কিন্তু, গ্রামে নির্দল প্রার্থী জয়লাভ করে। ফলে, নির্দলরা এলাকায় দাপিয়ে বেড়াতে থাকে। মাঝে মধ্যে গন্ডগোল লেগেই থাকত। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্যামবাবুর গ্রামে একটি বাড়িতে বিয়ের নিমন্ত্রণ ছিল। সেখানে দাদার সঙ্গে তিনি খেতে যান। হামলাকারীদের সেই বিয়ে বাড়িতে নিমন্ত্রণ ছিল। সেখানে পটকা ফাটানো নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে, মিটেও যায়। এরপর শ্যামবাবু বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীরা তাঁকে রাস্তাতেই আটকায়। প্রথমে বেধড়ক মারধর করে। পরে এলোপাথাড়ি গুলি করে খুন করা হয়। এরপরই হামলাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালায়।

চোখের সামনে ভাইকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিল ওরা

নিহত তৃণমূল কর্মীর দাদা রামেশ্বর রায় বলেন, আমার ভাইয়ের পাঁচ মাসের সন্তান রয়েছে। ভাই মন দিয়ে তৃণমূল দলটা করত। হামলাকারীরা আগে তৃণমূল করত। এখন ওরা নির্দল করে। মাঝে মধ্যে ওরা মিটিং করে গ্রামে অশান্তি তৈরি করে। ভাইয়ের সঙ্গে আমি নিমন্ত্রণ খেয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। রাস্তাতেই ওরা আমাদের আটকায়। আমি কিছুটা পিছনে ছিলাম। ভাইকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে দেখে আমি এগিয়ে গিয়ে প্রতিবাদ দেখানোর সাহস পাইনি। আমি ছুটে পালিয়ে গিয়ে প্রাণ বাঁচাই। চোখের সামনে ভাইকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিল ওরা। মৃতের পরিবারের লোকজনের দাবি, হামলাকারীদের ফাঁসি দিতে হবে।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles