Abhishek Banerjee: “সব নথি নিয়ে ইডির দফতরে যান”, অভিষেককে বলল ডিভিশন বেঞ্চ

ধাক্কা খেলেন অভিষেক! বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশের ওপর কোনও স্থগিতাদেশ দিল না ডিভিশন বেঞ্চ...
Abhishek-29
Abhishek-29

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির বিরুদ্ধে হিসেব বহির্ভূত অর্থের অভিযোগ। অভিযোগ থাকলে ডিরেক্টর বা সিইওকে জিজ্ঞাসাবাদে অসুবিধে কোথায়? আপনি সিইও হলে যে নথি চাওয়া হয়েছে, তা দিয়ে দিন। ১৮৮ এ, হরিশ মুখার্জি রোডের সম্পত্তির খতিয়ান সিঙ্গল বেঞ্চ চাইলে সমস্যা কোথায়? আপনি সাংসদ, আপনার সম্পত্তির খতিয়ান তো নির্বাচন কমিশনকেও দিতে হয়।” বুধবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) ইডির তলব প্রসঙ্গে পর্যবেক্ষণে এমনই জানাল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। নথির তথ্যে সন্তুষ্ট না হলে তবেই অভিষেককে ডাকা হোক, ইডিকে প্রস্তাব আদালতের। অবশ্য বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশের ওপর কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি ডিভিশন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, বিচারপতি সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক।

'ইডিকে নথি দিন'

অভিষেকের আবেদন শোনার পর বিচারপতি সৌমেন সেনের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ বলে, “ইডি শেষ যে সমন পাঠিয়েছিল, তাতে যা যা জানতে চাওয়া হয়েছিল, তা ইডিকে দিয়ে দিন। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে আপত্তি কোথায়?” নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় নাম জড়ায় ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ কোম্পানির। এই মামলায় ধৃত ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে জেরা করে ওই কোম্পানির নাম জানতে পারেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা।

'এতে তো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়'

এই সংস্থার সিইও তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তাই তলব করা হয় তাঁকে। এদিন বিচারপতি বলেন, “এটি একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। এর সব তথ্য সামনে আসা উচিত। সিইও-র বিষয়ে যা জানতে চাওয়া হয়েছে, তাও জনসমক্ষে আনা প্রয়োজন। এতে তো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।”

আরও পড়ুুন: ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ মামলায় ফের ইডির তলব অভিষেককে, হাজিরার নির্দেশ রুজিরাকেও

বিচারপতি বলেন, “মাথায় রাখবেন, এটা কোনও সরাসরি তদন্ত নয়। কোর্টের নজরদারিতে তদন্ত চলছে। তাই সিঙ্গল বেঞ্চ এটা করতেই পারে। তদন্তের প্রয়োজনে তদন্তকারী সংস্থার কাছে জবাব চাইতেই পারে সিঙ্গল বেঞ্চ। এতদিন ধরে তদন্ত চলার পরেও কিছু পাওয়া যায়নি। সিঙ্গলবেঞ্চের বিচারপতি তো এ নিয়ে জানতে (Abhishek Banerjee) চাইবেনই।” তিনি বলেন, “আদালতের নজরদারিতে তদন্ত চললে যদি তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্টে আদালত সন্তুষ্ট না হয়, তাহলে আবার নির্দেশ দিতে পারে।” অভিষেকের আইনজীবীকে বিচারপতি সেন বলেন, “আপনি (অভিষেক) তদন্তকারী সংস্থাকে সহযোগিতা করুন। যে নথি চাওয়া হয়েছে, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই তথ্য দেওয়া উচিত। ১২ অক্টোবর ইডির দফতরে সব নথি নিয়ে যান।”

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles