মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিকাশ ভবনের কর্মী বিস্ফোরক-যোগে অভিযুক্ত! এখান থেকেই এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল এনআইএ (NIA)। অন্যদিকে, বীরভূমের মহম্মদবাজারে ৮১ হাজার জিলোটিন স্টিক ও অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধারের ঘটনায় এদিন আরও ২ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA)।
ধৃতদের পরিচয়
ধৃতদের মধ্যে মির মহম্মদ নুরুজ্জামান পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তিনি বিকাশ ভবনে কর্মরত বলেই জানা গেছে। শনিবার দুপুরে নুরুজ্জামানকে সেখান থেকে গ্রেফতার করে এনআইএ (NIA)। অন্যদিকে আরেক অভিযুক্ত মিরাজুদ্দিনকে ধরা হয় রানিগঞ্জ থেকে। এনআইএ বলছে, মিরাজুদ্দিন, অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ। বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় এর আগে মহম্মদবাজার থেকে রিন্টু শেখ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। রিন্টুকে জেরা করে পাওয়া যায় নুরুজ্জামান এবং মিরাজুদ্দিনের নাম। রানিগঞ্জ, রাজারহাট ও মঙ্গলপুরে শুরু হয়েছে এনআইএ তল্লাশি। সূত্রের খবর, এনআইএ গ্রেফতারি এড়াতে বিকাশ ভাবনে সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন মীর মহম্মদ নুরুজ্জামান। NIC প্রজেক্টে কাজ করছিলেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, প্রভাবশালীদের সাহায্যেই দিনের পর দিন প্রচুর পরিমানে বিস্ফোরক সরবরাহ করে গেছে এই ২ জন। পুলিশের সাহায্যেও এই কাজ চলত কিনা তাও খতিয়ে দেখছে এনআইএ। সূত্রের খবর, ৮১ হাজার জিলেটিন স্টিক আর ২৭ হাজার কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সাপ্লাই করেছিল এরা।
বারুদের স্তূপে বীরভূম
বারুদের স্তূপে বীরভূম! বিরোধীদের এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এদিনই মল্লারপুরের জবুনি গ্রামে বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির মশলা, আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করল পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে। অন্যদিকে, নলহাটিতে উদ্ধার তাজা বোমা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে অভিযান চালায় পুলিশ। ধৃত রমজান শেখের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ১৮০ কেজি বোমা তৈরির মশলা। ৩টি দেশি পাইপগান ও ১২ রাউন্ড গুলি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিজের বাড়িতেই বোমা তৈরির মশলা ও আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করেছিলেন ধৃত। উদ্ধার হওয়া মশলা থেকে এক হাজারের বেশি দেশি বোমা তৈরি হত বলে পুলিশের অনুমান। এনআইএ-র ওপর আস্থা প্রকাশ করে বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, গোটা বীরভূমের অবস্থা একইরকম। শাসকদল এবং পুলিশের একাংশ জড়িত এ কাজে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ
+ There are no comments
Add yours