মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বাড়ছে অ্যাডিনো আতঙ্ক। বাড়ছে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা। টনক নড়ছে না রাজ্য সরকারের (BJP Rally)। রাজ্যে শিশু মৃত্যু মিছিল থামাতে ব্যর্থ রাজ্য সরকার, এই অভিযোগে শুক্রবার স্বাস্থ্যভবন অভিযান করে বিজেপি। দুপুরে সল্টলেকের করুণাময়ী মোড়ে বিজেপি কর্মীরা জমায়েত করেন। বিজেপি কর্মীদের প্রতিবাদ মিছিলকে গায়ের জোড়ে থামাল পুলিশ। বিজেপি কর্মীদের দাবি, পুলিশ জোর করে তাদের থামিয়ে দেয়। টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলার অভিযোগও ওঠে। প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হয়েছিলেন বিজেপি মহিলা মোর্চার কর্মীরাও। তাঁদেরও জোর করে বেসরকারি বাসে তোলা হয়। সল্টলেক করুণাময়ী মোড়ে বিজেপি-পুলিশে বচসাও হয়।
শুক্রবার কোলে প্রতীকী শিশু নিয়ে মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে, তা সত্ত্বেও স্বাস্থ্য দফতর উদাসীন (BJP Rally)। আইসিইউ-র সঠিক পরিকাঠামো নেই বলেও অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
অগ্নিমিত্রার আরও বলেন, রাজ্য সরকারে হাতে শুধু পুলিশ আছে। সেই পুলিশকে দিয়ে গ্রেফতার করিয়ে বিরোধীদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি (BJP Rally)। অভিযান ঠিক স্বাস্থ্য ভবনের সামনে পৌঁছতেই বাধা দেয় পুলিশ। টেনে হিঁচড়ে বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের প্রিজন ভ্যানে তোলার চেষ্টা হয়। মহিলা কর্মীদের ঠেলে ফেলে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশের বিরুদ্ধে।
অগ্নিমিত্রা পালের সঙ্গেও ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের। মাটিতে বসে বিক্ষোভ খাতে দেখা যায় তাঁকে। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোভিডের সময়ও কোমর্বিডিটির কথা বলেছিলেন। এবারও একই কথা বলছেন। অ্যাডিনো ভাইরাসে শিশু মৃত্যু হচ্ছে। এই অবস্থায় কেন উনি কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না?’
আজ অ্যাডিনো ভাইরাস প্রাণ কেড়েছে আরও এক শিশুর। বিসি রায় হাসপাতালে সেই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত বিসি রায় হাসপাতালে ৪ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বেসরকারি মতে, এখন অবধি ১৩৬ জন শিশুর মৃত্যুর হয়েছে। অ্যাডিনো আতঙ্কে কাঁপছেন শিশুর বাবা- মায়েরা।
আরও পড়ুন: আরও ১১ দিন ইডি হেফাজতে অনুব্রত, এবার দিল্লিতে তলব কন্যা সহ ১২ জনকে
গতকাল রাত থেকে, আজ ভোর ৬টার মধ্যে বিসি রায় শিশু হাসপাতালে ৩ শিশুর মৃত্য়ুর খবর এসেছে (BJP Rally)। ফের আরও একটি মৃত্যুর খবর এল। বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৪৫-এ বিসি রায় হাসপাতালে মৃত্যু হয় চুঁচুড়ার বাসিন্দা, ১১ মাসের শিশুপুত্রের। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুর জ্বর ও সর্দিকাশির মতো উপসর্গ ছিল। এরপর রাত আড়াইটে নাগাদ মৃত্যু হয় বনগাঁর বাসিন্দা, দেড় বছরের আরও এক শিশুর। আজ ভোর রাতে মৃত্যু হয় উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরের ২ বছরের শিশুর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, দুই শিশুরই জ্বর ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল।
অ্যাডিনো-আতঙ্কের আবহে দিনকয়েক আগে নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে হাসপাতালগুলিকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (BJP Rally)। কিন্তু তারপরও সরকারি হাসপাতালের অবস্থা এতটুকুও পাল্টায়নি বলে অভিযোগ উঠছে। প্রতিদিন বাড়ছে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা। তার সঙ্গেই অভিযোগ উঠছে পরিষেবা নিয়েও।
+ There are no comments
Add yours