মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব বর্ধমান, হুগলির পর এবার পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur)। ফের আলু চাষির আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা ঘটল। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত চাষির নাম বাপী ঘোষ। তাঁর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণায়। এই নিয়ে রাজ্যে তিনজন চাষির মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। ঋণের বোঝা সামলাতে না পেরে ওই চাষি আত্মঘাতী হয়েছেন, উঠছে প্রশ্ন।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?(Paschim Medinipur)
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ঋণ নিয়ে প্রায় চার বিঘা পোখরাজ ও অন্যান্য আলু চাষ করেছিলেন চন্দ্রকোণা লাহিরগঞ্জ এলাকার বাপি ঘোষ নামে এক কৃষক। তবে অকাল বৃষ্টিতে আলুর জমি ডুবে যায়। প্রচুর টাকা ঋণ নিয়ে চাষ করার পর ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই কৃষক। শুক্রবার গভীর রাতে বিষ খান ওই চাষি। এরপর দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে শনিবার সকালে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। শনিবার রাতে মৃত্যু হয় তাঁর।
ঘাটালের মহকুমা শাসকের কী বক্তব্য?
ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে। কী কারণে মৃত্যু হয়েছে সেটা খতিয়ে দেখা হবে। বিডিও সাহেব তাঁর বাড়িতে যাচ্ছেন। প্রশাসন সার্বিক ভাবে মৃতের পরিবারের পাশে থাকবে।
পর পর তিনজন চাষির মৃত্যুতে রাজ্য সরকারের ভূমিরা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
প্রসঙ্গত, শনিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলী দুই ব্লকের নিমদহ পঞ্চায়েতের ছাতনি উত্তরপাড়া এলাকায় নিমাই ঘোষ নামে এক আলু চাষির মৃত্যুর আত্মহত্যা করেন। পরিবারের সদস্যরা জানান,বাড়ির পাশেই আম গাছে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। এই ঘটনার পর পরই বর্ধমান জেলায় খানাকুলে আরেক কৃষকের আত্মহত্যার খবর পাওয়া যায়। মৃত কৃষকের নাম তরুণ পালুই (৩৭)। ওই ব্যক্তি খানাকুলের ঘোষপুর অঞ্চলের পিলখাঁ এলাকার বাসিন্দা। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই ফের পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলায় আরও এক চাষির আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল। একের পর এক চাষির মৃত্যুতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণের কোনও উদ্যোগ চোখো পড়ছে না। ফলে, রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours