মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত লোকসভা এবং বিধানসভার পর গেরুয়া শিবিরের কাছে এবার পাখির চোখ আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদ। আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের ১৮ টি আসনের মধ্যে সবকটিতেই এবার প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি (BJP)। ২০১৮ সালে একটিমাত্র আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি প্রার্থী। তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে ছিল ১৭ টি আসন। যদিও গেরুয়া শিবিরের নেতাদের অভিযোগ, ২০১৮ সালে ভোট লুট হয়েছে, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া থেকে ভোটাধিকার প্রয়োগে বাধা দেওয়া হয়েছে।
কী বললেন বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি?
বিজেপির (BJP) শক্ত ঘাঁটি আলিপুরদুয়ার জেলায় গত লোকসভা ভোটে বিজেপির সাংসদ জন বারলা জয়ী হয়ে পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জেলার পাঁচটি বিধানসভা আসনের সবকটিতে জয়ী হন বিজেপির প্রার্থীরা। জেলার বিধায়ক সব বিজেপির দখলে থাকলেও জেলার উন্নয়নের কাজে রাজ্য থেকে প্রশাসনের বিরুদ্ধে বারবার অসহযোগিতার অভিযোগ করেছেন বিজেপির সাংসদ ও বিধায়করা। গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে জেলা পরিষদ ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের মাধ্যমেই সরাসরি মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ থাকায়, এবারে গেরুয়া শিবির জেলা পরিষদকে টার্গেট করে ময়দানে নেমেছে। জেলা পরিষদ দখল হলেই অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি দখলে আসবে। বিজেপির এক বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল শাসক দলে নাম লেখালেও তাঁর সঙ্গে দলের কোনও অনুগামী, এমনকী কার্যকর্তারাও কেউ দল ছাড়েননি। বিজেপির জেলা সভাপতি ভূষণ মোদক বলেন, এবারে মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হবেন বিজেপি প্রার্থীরা। তাঁরাই বোর্ড গঠন করবেন।
কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?
লোকসভা ও বিধানসভা ভোটেও পরপর ধাক্কা খেয়ে শাসকদল ঘুরে দাঁড়াতে ভোট ময়দানে ঝাঁপিয়েছে। আলিপুরদুয়ারে নিচু তলার বিজেপির (BJP) কর্মী-সমর্থক থেকে সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও বিজেপির প্রতি ঝোঁক একটা রয়ে গিয়েছে। ফলে, শাসক দলের উন্নয়নকে হাতিয়ার করে যতই প্রচার চালাক না কেন, শেষ পর্যন্ত মানুষের ভোট কার বাক্সে যায়, সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইক বলেন, বিজেপির সাংসদ-বিধায়কদের কার্যকলাপ দেখে বিরক্ত জেলার মানুষ। তাই ভোটে ওদেরকে মোক্ষম জবাব দেবেন ভোটাররা। জেলা পরিষদ তৃণমূলেরই দখল থাকবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours