মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে (Hospital) রোগীর পরিবারের লোকজনদের থাকার জন্য রাত্রী নিবাস ভবন তৈরি করা হয়েছিল। ঘটা করে সেই ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছে। কিন্তু, বছর খানেক হতে চলল এখনও ভবনের তালাই খোলেনি। এখন রোগীর পরিজনেরা হাসপাতালে (Hospital) এলে খোলা আকাশের নীচেই দিন কাটান। কর্তৃপক্ষের এই উদাসীনতার কারণে রোগীর পরিবারের লোকজন ক্ষুব্ধ। তাঁদের অভিযোগ, এত টাকা খরচ করে ভবন তৈরি করা হল। সেখানে আমাদের মতো গ্রাম থেকে আসা লোকজন থাকতে পারছে না। ভবন উদ্বোধন হওয়ার পর আমরা খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু, এক বছর হতে চলল ভবনে তালাই ঝুলছ। কবে, ভবনের তালা খুলবে আমরা কেউ তা জানি না। অবিলম্বে তালা খুলে রোগীর পরিবারের লোকজনের জন্য ভবন ব্যবহারের ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছি।
কেন রোগীর আত্মীয়দের থাকার ভবনে তালা ঝুলছে? Hospital
বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে (Hospital) রাজ্য সরকারের আবাসন দপ্তর থেকে ওই ভবনটি নির্মাণ করা হয়। তিনতলা বিশিষ্ট ওই ভবনটিতে পুরুষ ও মহিলাদের থাকার মত ব্যবস্থা রয়েছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রায়গঞ্জের সভা থেকে ওই ভবনটির উদ্বোধন করেন। কিন্তু, উদ্বোধনের এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও তা খোলা হয়নি। কিছুদিন আগেই রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে ওই ভবন খুলে দেওয়া নিয়ে আলোচনা হয়। ঠিক হয়, ওই ভবনটিকে পুরসভার হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, ওই ভবনের নীচের তলায় রোগীর পরিজনদের রাতে খাওয়ার এবং ওপরতলায় থাকার ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু, হাসপাতাল (Hospital) কর্তৃপক্ষ বলছে পুরসভা ভবনটি পরিচালনা করবে, পুর কর্তৃপক্ষ বলছে দায়িত্ব নেওয়ার নির্দেশ আসেনি। দুইয়ের টানাপোড়েনে প্রায় এক বছর ধরে ভবনে তালা ঝুলছে। এমনিতেই জেলা হাসপাতালে প্রচুর রোগী ভর্তি থাকে। বেশিরভাগই দূর দূরান্তের। রাতে রোগীর আত্মীয়রা হাসপাতালে (Hospital) থাকার জায়গা না পেয়ে খোলা যাত্রী প্রতীক্ষালয়তেই রাত কাটাতে বাধ্য হন। যার ফলে ক্ষোভ ছড়িয়েছে রোগীর আত্মীয় পরিজনদের।
এবিষয়ে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ বলেন, ওই ভবনটি নতুন হয়েছে। রাতে থাকার জন্য ওই ভবনটি নিয়ে রোগী কল্যাণ সমিতিতে আলোচনা হয়েছে। ওই ভবনটি পুরসভার তত্ত্বাবধানে নেওয়া হবে। অতিদ্রুত যাতে খুলে দেওয়া হয়, তা দেখা হচ্ছে। আর বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, ওই ভবনটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে, জেলা প্রশাসনের এখনও কোন নির্দেশ পাইনি। নির্দেশ বা ছাড়পত্র পেলে ওই ভবনটি আমরা সাধারণ মানুষের থাকার পরিকাঠামো প্রস্তুত করে ব্যবহারের উপযোগী করব।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours