মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিক্ষোভকারীদের (Protestors) কোনও জায়গা নেই 'অগ্নিপথ' প্রকল্পের (Agnipath Scheme) চাকরিতে। পরিস্কার জানিয়ে দিল কেন্দ্র। অগ্নিপথ নিয়োগের আগে চাকরিপ্রার্থীকে মুচেলেকা (Written Pledge) দিয়ে জানাতে হবে তাঁরা বিক্ষোভের সাথে কোনওভাবে জড়িত ছিলেন না। এরপর সেই বক্তব্যের পুলিশি যাচাই হবে। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তবেই চার বছরের জন্যে হওয়া যাবে অগ্নিবীর (Agniveers)।
রবিবার অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল পুরী (Lt Gen Anil Puri)। প্রথমেই তিনি জানান কোনও পরিস্থিতিতেই প্রত্যাহার করা হবে না অগ্নিপথ প্রকল্প। বিক্ষোভকারীদের জন্যে অগ্নিপথে কী প্রক্রিয়ায় নিয়োগ হবে, সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অনিল পুরী কড়া ভাষায় বলেন, বিক্ষোভকারী স্থান নেই সেনাাহিনীতে। তিনি বলেন,‘‘প্রত্যেক আবেদনকারীকে মুচলেকা দিয়ে জানাতে হবে, তাঁরা কোনও বিক্ষোভের অংশ ছিলেন না। পুরোনো পুলিশি রেকর্ডের যাচাইও হবে।’’
আরও পড়ুন: আরও বাড়ল বয়সের ঊর্ধ্বসীমা! ১০ শতাংশ সংরক্ষণ কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীতে
গত সপ্তাহেই সেনাবাহিনীতে নিয়োগের নতুন প্রকল্প অগ্নিপথের ঘোষণা করেছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। চুক্তিভিত্তিক এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চার বছরের জন্য দেশের সাড়ে ১৭-২৩ বছর বয়সি তরুণদের সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা হবে। চার বছর পরে ২৫%-কে সেনাবাহিনীতে স্থায়ী পদ দেওয়া হবে, বাকিদের এককালীন ভাতা দিয়ে অবসর দেওয়া হবে।
ঘোষণার পর থেকেই এই প্রকল্প নিয়ে দেশজুড়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে। পথ অবরধ থেকে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, বিক্ষোভকারীরা কোনও কিছুতেই পিছপা হয়নি। বিক্ষোভের প্রতিক্রিয়া দিয়ে রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে। প্রকল্প প্রত্যাহার করবে না কেন্দ্র। উল্টে কবে নিয়োগ হবে, কবে থেকে অনলাইনে আবেদন করা যাবে, সবকিছুই বিশদে জানানো হয়েছে এদিনের বৈঠকে।
আরও পড়ুন: তারুণ্যে ভরপুর সেনা! অগ্নিপথ সঠিক দাবি কংগ্রেস নেতার
২৪ জুন থেকে ভারতীয় বায়ুসেনায় নিয়োগের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে। ২৪ জুলাই প্রথম দফার অনলাইন পরীক্ষার শুরু হওয়ার দিন ধার্য হয়েছে। ডিসেম্বরের শেষে প্রথম দফার নিয়োগ শুরু হবে। ৩০ ডিসেম্বর শুরু হবে প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণ। অন্য দিকে নৌবাহিনীতে ২১ নভেম্বর থেকে প্রশিক্ষণ শুরু করবে বলে জানিয়েছেন নৌবাহিনীর ভাইস অ্যাডমিরাল দীনেশ ত্রিপাঠী। তিনি জানিয়েছেন, নৌবাহিনীতে মেয়েদেরও নিয়োগ করা হবে ‘অগ্নিবীর’ হিসেবে।
আপাতত অগ্নিপথে ৪৬ হাজার আবেদনকারীকে সুযোগ দেওয়া হবে। পরে পর্যায়ক্রমে এক লক্ষ ২৫ হাজার অগ্নিবীরের শূন্যপদ তৈরি হবে সেনাবাহিনীতে।
+ There are no comments
Add yours