মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আকবরনগর এখন ‘সৌমিত্র বন’ নামে নামাঙ্কিত হয়েছে। ভগবান রামের ছোট ভাই লক্ষ্মণের নামে এই নামকরণ করা হয়েছে। উত্তর প্রদেশের বিধানসভায় আজ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) এই কথা ঘোষণা করেছেন। এই ভাবে এলাকায় অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে সরকারের পদক্ষেপের কথা বলে সমাজবাদী পার্টির তীব্র সমালোচনা করেছেন তিনি।
কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী (Yogi Adityanath)?
আজ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) লখনউ সেন্ট্রাল বিধানসভা কেন্দ্র থেকে এসপি বিধায়ক রবিদাস মেহরোত্রার প্রশ্নের জবাব দেওয়ার সময় বলেছেন, “লখনউয়ের ইতিহাস দেখলে জানতে পারবেন, যেখানে গোমতী এবং কুকরাইল নদীর সঙ্গম ছিল। আকবরনগর, ১৯৮৪ সালে স্থাপিত হয়েছিল, তবে এর বেশিরভাগই অবৈধ নির্মাণ হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জাল নথি ও কাগজপত্র দেখিয়ে অবৈধ ভাবে নিবন্ধীকরণ করে পুনর্বাসন দেওয়ার কাজ হয়েছে। এখন থেকে আকবরনগর এখন সৌমিত্র বন নামে জানা যাবে। ভগবান রামের ছোট ভাই লক্ষ্মণের নামে হবে ‘সৌমিত্র বন’।”
জমি দখলকারী মাফিয়ারা সমাজবাদী ঘনিষ্ঠ
সামজবাদী বিধায়কে প্রশ্নের উত্তরে যোগী (Yogi Adityanath) আরও বলেছেন, “আপনারা গিয়ে দেখে নিন কুকরাইল, নদী নাকি নালা! আজ সেখানে আপনি নদী দেখবেন, কিন্তু নালা নয়। দেশ জুড়ে নদী সংস্কারের অভিযান চলছে। আমরা বলি জলই জীবন, কিন্তু আমরা কি একে ধ্বংস করে জীবন কল্পনা করতে পারি? একদিকে সমাজবাদীরা গোমতী নদীকে ‘মা’ বলছেন, আবার অন্যদিকে পুরো নদীকে নোংরা নালায় পরিণত করেছেন। এটা তাঁদের দ্বিচারিতা। নদী সংস্কারের জন্য যে প্রচেষ্টা করা হচ্ছে, তার জন্য তো সরকারকে প্রশংসা করা উচিত আপনাদের। গরিব মানুষকে ঠকিয়ে জমি দখলকারী মাফিয়াদের বেশিরভাগই সমাজবাদী পার্টির ঘনিষ্ঠ। আমরা ইন্দ্রপ্রস্থ নগর এবং পান্ত নগরে মাফিয়াদের চিহ্নিত করেছি।”
আরও পড়ুনঃ লাভ জিহাদ বন্ধে কঠোর আইন আনছে যোগী সরকার, কী আছে বিলে জানেন?
১৮০০-র বেশি পরিবার ঘর পেয়েছেন
গত ১৯ জুন আকবর নগরের (Soumitra Van) কুকরাইল নদীর পাড়ে অবৈধ নির্মাণের ভাঙার কাজ শেষ করেছে যোগী সরকার (Yogi Adityanath)। বুলডোজার সহ ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে মোট ১১৬৯টি অবৈধ বাড়িঘর এবং ১০০টিরও বেশি দোকান ভেঙে ফেলা হয়েছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ২৪.৫ একর জমির ওপর অবৈধ দখল উচ্ছেদের কাজ শুরু হয়েছিল। ওই এলাকায় হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের ধর্মীয় স্থানসহ মোট ১৩২০টিরও বেশি অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলা হয়েছে। আকবরনগরে বসবাসকারী পরিবারগুলি যাঁরা বাড়ি হারিয়েছেন, তাঁদের জন্য শহরের অন্যান্য অংশে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মোট ১৮০০-র বেশি পরিবার ঘর পেয়েছেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours