মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে ক্রমেই বাড়ছে নিষ্ক্রিয় মানুষের সংখ্যা (Inactive Life)। এ দেশে ২০ কোটিরও বেশি মানুষ আন্তর্জাতিক মান অনুসারে নিষ্ক্রিয়। এই নিষ্ক্রিয়দের সিংহভাগই (Alarming Situation) মহিলা, বাস করেন শহরাঞ্চলে। সাম্প্রতিক জাতীয় সমীক্ষায়ই এই তথ্য মিলেছে। সমীক্ষাটি করেছে ডালবার্গ অ্যাডভাইজার্স এবং অ্যাক্সিলারেটর। ভারতবাসীর মধ্যে শারীরিক কার্যকলাপের উল্লেখযোগ্য ফাঁকগুলি তুলে ধরেছে এই সমীক্ষা।
কী বলছে হু? (Inactive Life)
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু প্রাপ্তবয়স্কদের ফি সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট শারীরিক ক্রিয়াকলাপের পরামর্শ দিয়েছে। শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের প্রতিদিন এক ঘণ্টা শারীরিক ক্রিয়াকলাপ করা প্রয়োজন। সমীক্ষায় প্রকাশ, অনেক ভারতীয় এই মানদণ্ড পূরণ করতে পারেন না। সমীক্ষা থেকেই জানা গিয়েছে, প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন অভিভাবক মনে করেন, তাদের সন্তানের উচিত খেলার সময় অধ্যয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া।
ভাঙতে হবে মিথ
ডালবার্গ অ্যাডভাইজার্সের আঞ্চলিক ডিরেক্টর স্বেথা টোটাপালি দৈনন্দিন জীবনে শারীরিক ক্রিয়াকলাপকে অঙ্গীভূত করার গুরুত্বের ওপর জোর দেন (Inactive Life)। তিনি বলেন, “আমাদের বড় যে মিথগুলো ভাঙতে হবে, তার মধ্যে একটি হল শারীরিক কার্যকলাপ আমাদের শিক্ষার পথে বাধার সৃষ্টি করে, যখন বাস্তবে এটি শিক্ষাগত সাফল্যকে পরিপূরক ও উন্নত করে।”
আরও পড়ুন: লক্ষ্য রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ, মোদির পর শান্তির বার্তা নিয়ে মস্কো যাচ্ছেন ডোভাল
তিনি বলেন, “শারীরিক কার্যকলাপ উন্নত মেজাজ, স্ট্যামিনা এবং কগনিটিভ ফাংশানের দিকে পরিচালিত করে। এর ফলে আদতে উপকৃত হতে পারে জাতীয় অর্থনৈতিক ফলগুলি।” সমীক্ষা থেকেই জানা গিয়েছে, যাঁরা নিষ্ক্রিয়, তাঁদের সিংহভাগই মহিলা, বিশেষত শহুরে মহিলা। মিথগুলো শারীরিক কার্যকলাপকে নিরুৎসাহিত করে। স্পোর্টস অ্যান্ড সোসাইটির অ্যাক্সিলারেটরের সহ প্রতিষ্ঠাতা দেশ গৌরব সেখরি বলেন, “ভারতে আমরা খেলাধুলোর সঙ্গে ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটিগুলোকে গুলিয়ে ফেলি।” তিনি বলেন, “ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটিগুলোর উচিত স্বাস্থ্যের ওপর ফোকাস করা এবং শরীরের কল্যাণে প্রয়োগ করা। এগুলোকে স্রেফ কম্পিটিশন এবং এক্সেলেন্স হিসেবে না দেখাই শ্রেয়। কৈশোরে পড়লে মেয়েরা আবার বাড়তি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। সাংসারিক দায়িত্ব ও নিরাপত্তার কারণেও তারা বঞ্চিত হয় ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটির সুযোগ থেকে।” সমীক্ষায় এও জানা গিয়েছে, গ্রামীণ এলাকার তুলনায় শহরাঞ্চলে নিষ্ক্রিয়তার হার প্রায় দ্বিগুণ। দেশের ২১ শতাংশ স্কুলে খেলার মাঠ নেই। ক্রীড়া সরঞ্জামের অভাব রয়েছে ৬৭ শতাংশ ক্ষেত্রে। সর্বোপরি রয়েছে লিঙ্গ বৈষম্য। সব মিলিয়ে (Alarming Situation) বাড়ছে নিষ্ক্রিয়তা (Inactive Life)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours