Allahabad: মহিলাদের বিরুদ্ধেও করা যেতে পারে গণধর্ষণের মামলা, সাফ জানাল এলাহবাদ হাইকোর্ট

Allahabad: ২০১৫ সালের একটি এফআইআরের ভিত্তিতে একটি মামলার শুনানিতে এমন রায় দিল বিচারপতি।
Allahabad
Allahabad

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধুমাত্র পুরুষ নয়, মহিলাদের বিরুদ্ধেও গণধর্ষণের মত অপরাধে মামলা দায়ের করা যেতে পারে, এমনটাই জানাল এলাহবাদ হাইকোর্ট। এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি শেখর কুমার যাদবের বেঞ্চ সোমবার একটি মামলায় এই রায় দিয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির আইন পর্যবেক্ষণ করে বিচারপতি যাদব জানিয়েছেন, একজন মহিলা কখনও ধর্ষণ করতে পারে না অন্য মহিলাকে। কিন্তু সেই মহিলা যদি গণধর্ষকদের কাজকে প্রশ্রয় দেয়, তবে সে-ও সমান অপরাধে অভিযুক্ত হবে, গণধর্ষণের মামলা রুজু করা হতে পারে তার বিরুদ্ধেও।

মামলাটি কী?

সূত্রের খবর, ২০১৫ সালের একটি এফআইআরের ভিত্তিতে এই মামলার শুনানি চলছিল আদালতে। অভিযোগ, ১৫ বছরের এক মেয়েকে অপহরণ করে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। তার বয়ান রেকর্ড করার পরে পুলিশ জানতে পারে, গোটা ঘটনায় এক মহিলাও জড়িত ছিল। তবে ঘটনার চার্জশিটে ওই মহিলার নাম ছিল না। তা সত্ত্বেও ৩৭৬ ডি ধারায় (ধর্ষণ-সহ যৌন অপরাধ) মামলার শুনানিতে ওই মহিলাকে তলব করা হয়।

এই পরিস্থিতিতে অভিযুক্ত ওই মহিলা সুনীতা পাণ্ডের আইনজীবী সওয়াল করেন যে, তাঁর মক্কেলকে ভুল করে আদালতে তলব করা হয়েছে গণধর্ষণের মামলায়। তাঁর মক্কেল একজন মহিলা। তাঁর পক্ষে অন্য মহিলাকে ধর্ষণ করা সম্ভব নয়। ফলে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭৬ ডি ধারায় কখনওই অভিযোগ আনা যায় না একজন মহিলার বিরুদ্ধে। তিনি আরও দাবি করেন, মহিলার পক্ষে যেহেতু ধর্ষণ করা সম্ভবই নয়, তাই গণধর্ষণের চার্জও আনা যায় না।

বিচারপতির রায়

অভিযুক্ত সুনীতার আইনজীবীকে পাল্টা জবাব দিতে সংবিধানের ৩৭৫ এবং ৩৭৬ নম্বর অনুচ্ছেদে ধর্ষণের যে সংজ্ঞা উল্লেখ করা হয়েছে, সেই প্রসঙ্গ আনা হয়েছে। বলা হয়েছে, ৩৭৫ ধারায় স্পষ্ট করেই লেখা আছে, ধর্ষণ কেবল পুরুষরা করতে পারে, মহিলারা নয়। তবে ৩৭৬-ডি ধারা বলছে, কোনও মহিলা যদি গণধর্ষণে অভিযুক্তদের সাহায্য করেছে বলে জানা যায়, তবে সে-ও সমান দোষে দোষী। এরপরেই বিচারপতি বলেন, “কোনও মহিলা ধর্ষণ করতে পারেন না। তবে তিনি যদি এক দল লোকের সঙ্গে মিলে এই কাজটি (ধর্ষণ) করতে সহায়তা করেন, তবে তাঁর বিরুদ্ধেও গণধর্ষণের মামলা হতে পারে।” তিনি রায় দেওয়ার সময়ে ‘ব্যক্তি’ শব্দের উপর জোর তিনি জানান, ব্যক্তি বলতে এ ক্ষেত্রে সঙ্কীর্ণ ভাবে কেবল পুরুষদের বোঝানো হয়নি। ‘ব্যক্তি’ বলতে কোনও মহিলা বা যে কোনও সংঘবদ্ধ দলও বোঝাতে পারে।

ফলে সব দিক বিচার করে বিচারপতি রায় দেন, এই ঘটনায় অভিযুক্ত ওই মহিলার বিরুদ্ধেও গণধর্ষণের সাজাই দেওয়া হবে, কারণ তিনি একদল ব্যক্তির সঙ্গে ধর্ষণের কাজে সাহায্য করেছেন।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles