মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কখনও ভেবে দেখেছেন কি এ দুনিয়ায় হয়তো কেউ থাকতে পারেন যাঁর কোনও সঙ্গী নেই অর্থাৎ একেবারেই নিঃসঙ্গ তিনি। হয়তো ভাবছেন এমনটা সম্ভব নয়, তবে এমনটাই ঘটেছে। অনেক দিন আগেই জানা গিয়েছিল পৃথিবীর সবচেয়ে একা মানুষ আমাজন উপজাতির এক ব্যক্তি বসবাস করতেন ব্রাজিলের আমাজন জঙ্গলে। এক বিরল আদিম জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি তিনি। তাঁরই সম্প্রতি মৃত্যু ঘটেছে। তাঁকে ‘Man of the Hole’ বলা হত।
জানা গিয়েছে, গত ২৬ বছর তিনি সম্পূর্ণ একা জীবন কাটিয়েছেন। কয়েকদিন আগে এক কুটিরের বাইরে ঝুলতে থাকা দোলনায় তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়। তথ্য বলছে, কোনও হিংস্রতার মুখোমুখি হয়ে তিনি প্রাণ হারাননি। কারণ শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। এমনকি সুরঙ্গের ভিতরেও কোনও ধস্তাধস্তি বা ভাঙচুরের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। কিন্তু দেখা যায়, নিঃসঙ্গ ওই মানুষটির দেহে রঙ-বেরঙের নানা পালক দেখা গিয়েছে। আর এই আয়োজন দেখেই মনে করা হয়েছে, মানুষটি সম্ভবত নিজের মৃত্যুর জন্য নিজেই প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। তাঁর বয়স প্রায় ৬০ বছরের মতো।
আরও পড়ুন: গায়ের ওপর গোখরো, ভয়ে মরার ভান মহিলার, তারপর যা ঘটল...
সংবাদমাধ্যমে জানা গিয়েছে, রনডোনিয়া (Rondonia) নামক এলাকার তানাড়ু (Tanaru) নামক এলাকায় এই বিরল আদিম জনগোষ্ঠীর ইনিই একামাত্র ছিলেন। সুতরাং এইভাবে শেষ হয়ে গেল আমাজনের জঙ্গলের এক আদিবাসী সম্প্রদায়ের।
মানুষটির প্রথম সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল ১৯৯০ সালে। ব্রাজিলের ফেডেরাল পুলিস এখন আদিবাসী ওই ব্যক্তির শরীরের অটোপ্সি করবে, তার রিপোর্টও প্রকাশ করা হবে। এই মৃত্যুর খবর পেয়ে 'অবজার্ভেটরি ফর দ্য হিউম্যান রাইটস অফ আইসোলেটেড অ্যান্ড রিসেন্ট কনট্যাক্ট ইনডিজেনাস পিপল' (ওপিআই)-এর (Observatory for the Human Rights of Isolated and Recent Contact Indigenous Peoples) তরফ থেকে বিস্ময় ও কৌতূহল প্রকাশ করে বলা হয়েছে, মৃত ওই মানুষটির বাসস্থান থেকে এমন কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি, যা দেখে বলা যেতে পারে যে কোন এথনিসিটির ঐতিহ্য তিনি বহন করতেন এবং কেনই বা তিনি তাঁর কুটিরের বাইরে একটি গর্ত খুঁড়েছিলেন, যে কারণে 'ম্যান অফ হোল' নামে তিনি পরিচিত ছিলেন। তাঁকে ২০১৮ সালে শেষবার ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছিল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours