মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার ভারতীয়করণের লক্ষ্যে শুক্রবার লোকসভায় তিনটি বিল পেশ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এই বিল তিনটি হল, ‘দ্য ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ২০২৩’, ‘দ্য ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ২০২৩’ এবং ‘ভারতীয় সাক্ষ বিল ২০২৩’। ব্রিটিশ আমলে তৈরি ‘ইন্ডিয়ান পেনাল কোড (ভারতীয় দণ্ডবিধি)’, ‘কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিওর’ এবং ‘ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্টে’র জায়গা দখল করতে চলেছে শাহের পেশ করা বিল তিনটি।
নয়া বিল পেশে শাহের যুক্তি
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এই তিন আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া হতে চলেছে। ব্রিটিশ প্রশাসনকে আরও শক্তিশালী করাই লক্ষ্য ছিল এই আইনগুলির। আইনগুলির লক্ষ্য ছিল শাস্তি দেওয়া, ন্যায় বিচার দান নয়। এর পরিবর্তে নতুন তিনটি আইন আনা হচ্ছে যা ভারতের নাগরিকদের অধিকার রক্ষা করতে চলেছে।” তিনি বলেন, “এই আইনগুলির লক্ষ্য শাস্তি দেওয়া হবে না। সাধারণ মানুষ যাতে ন্যায় পান, তাই আনা হচ্ছে আইনগুলি। অপরাধ যাতে থামানো সম্ভব হয়, সেই লক্ষ্যে শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।”
রাষ্ট্রদ্রোহ আইন বাতিল
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) জানান, রাষ্ট্রদ্রোহ আইন সম্পূর্ণভাবে বাতিল করা হচ্ছে। বর্তমানে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে অপরাধীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কিছু ক্ষেত্রে জেল হয় তিন বছরেরও। নয়া প্রস্তাবে তিন বছরের জেলের সাজা হতে পারে। গণপিটুনিকে হত্যার পরিভাষার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। জাতি, ধর্ম, লিঙ্গ, জন্মস্থান, ভাষা, ব্যক্তিগত বিশ্বাস বা অন্য কোনও কারণে হত্যার ক্ষেত্রে শাস্তি হিসেবে অভিযুক্ত প্রত্যেককে মৃত্যুদণ্ড বা কারাদণ্ড দেওয়া হবে। ন্যূনতম সাজা সাত বছর জেল। সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড। জরিমানাও করা হবে।
আরও পড়ুুন: এবার শিলিগুড়ির ২২ শিক্ষককে তলব, জিজ্ঞাসাবাদে কী জানতে চাইছে সিবিআই?
যদি কোনও ব্যক্তি ঘৃণা ভাষণ কিংবা উসকানিমূলক ভাষণ দেন, তাহলে তাঁর তিন বছর জেল হবে। সঙ্গে রয়েছে জরিমানাও। যদি কোনও ধর্মীয় সমাবেশে কোনও অংশ বা শ্রেণির মানুষের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক ভাষণ দেওয়া হয় তাহলে, অভিযুক্তের পাঁচ বছরের জেল হবে। শাহ জানান, ছোট কোনও অপরাধের জন্য কমিউনিটি সার্ভিস বা সেবার শাস্তি নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে। গণধর্ষণের ক্ষেত্রে ২০ বছর পর্যন্ত জেল বা যাবজ্জীবন সাজার বিধান আনা হবে। নাবালিকা ধর্ষণের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের বিধান (Amit Shah) আনা হবে। নয়া বিলে মহিলা ও শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধকে সব চেয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের সময় ভোটারদের ঘুষ দেওয়া হলে অপরাধীকে এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours