Anubrata Mondal: ৩০০ ভরি সোনার গয়নায় কালীমাকে সাজিয়েছিলেন কেষ্ট, এবার কী হবে?

কেষ্টহীন বীরভূমে দলীয় কার্যালয়ে কালীপুজো নিয়ে চর্চা
Anubrata_Mondal_(7)
Anubrata_Mondal_(7)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় বীরভূম জেলার শেষ কথা ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। গরু পাচার কাণ্ডে তিনি এখন তিহার জেলে রয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে কেষ্টহীন অবস্থায় এবারও পুজো হবে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে। আর কেষ্ট ছাড়া এবার পুজোয় কেমন আড়ম্বর হবে, তা নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

অনুব্রতর সময় পুজোর আয়োজন কেমন হত? (Anubrata Mondal)

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আশির দশকের শেষের দিকে কেষ্টর (Anubrata Mondal) হাত ধরে এই পুজো শুরু হয়। তবে, তখন খুব বেশি জাঁকজমক হত না। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পুজোর আড়ম্বর ক্রমশ বাড়তে শুরু করে। যদি দিন গিয়েছে, জেলা তথা রাজ্য রাজনীতিতে কেষ্টর জমি ততই শক্ত হয়েছে। আর ফি বছর মায়ের পুজোর জাঁকজমক তত বেড়েছে। ২০২০ সালে মাকে সোনার মুকুট, বাউটি, বাজুবন্ধন, কানের দুল, গলার হার, হাতের আংটি, কোমর বিছে মিলিয়ে প্রায় ৩০০ ভরির বেশি সোনার গয়নায় সাজানো হয়েছিল। গত বছর গরু পাচার মামলায় অনুব্রত সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই পরিস্থিতি বদলে যায়। এবারও আর পুজোতে তিনি থাকতে পারবেন না। ফলে, পুজোর সেই আড়ম্বরও এবার অনেকটাই ম্লান। দলীয় কার্যালয়ে থাকা মা কালীর বিপুল পরিমাণ গয়নাও তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেই গয়না দিয়েছিলেন যে ব্যবসায়ী, তাঁকেও আগে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।

কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

তৃণমূলের জেলার সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, কেষ্টদা (Anubrata Mondal) এবার পুজোয় থাকবেন আমরা সকলেই আশা করেছিলাম। কিন্তু, সেটা তো হল না। খারাপ লাগছে। নিয়ম মেনে পুজোর আয়োজন করা হবে। প্রশ্নে তাঁর জবাব, অন্তরের শ্রদ্ধাই বড় কথা, কতটা গয়না দেবীকে পরানো হল, বড় কথা নয়। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর যেটুকু গয়না পরানো হয়েছিল, এ বছর তার থেকেও কম অলঙ্কারে সাজানো হবে কালীকে।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles