মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:বিজেপি কর্মীর বাড়িতে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের (Arambagh) খানাকুল-১ নম্বর ব্লকের অরুণ্ডা গ্রামে। তৃণমূলের হামলায় ৪ জন বিজেপি কর্মী জখম হন। তাঁদের উদ্ধার করে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Arambagh)
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে এলাকায় বিজেপি কর্মীদের উদ্যোগে একটা খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। বিজেপি সমর্থকদের অভিযোগ, আচমকা তৃণমূলের ৩০ থেকে ৪০ জন কর্মী তাঁদের বাড়িতে এসে ভাঙচুর চালায়। মারধরও করা হয়। এমনকী বাড়িতে থাকা টাকা-সোনাও লুট করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় জখম হন বিজেপির দুই মহিলা ও দুই পুরুষ। এরপর পরিবারের লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে আরামবাগ (Arambagh) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা চলছে। প্রসঙ্গত, গত ২৯ অগাস্ট অরুণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতে স্থায়ী সমিতি গঠনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল গোটা এলাকায়। রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল অরুণ্ডা গ্রাম। সূত্রের খবর, চলেছিল গুলি। দেদার বোমাবাজি ও হয়। অনেক বাড়িতে ভাঙচুর চলে, পঞ্চায়েত ভবনে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল আগুনও। পুলিশের গাড়িতেও চলে ভাঙচুর। পুলিশের চারটি বাইক জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ১৯ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকে থমেথমে ছিল গোটা এলাকা। এরমধ্যে ফের তৃণমূল তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ।
কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?
যদিও তৃণমূলের বিরুদ্ধেই স্পষ্ট অভিযোগ আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তথা পুড়শুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষের। তিনি বলছেন, তৃণমূল ও পুলিশ উভয়েই অরুণ্ডাতে বিজেপি সমর্থকদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে। আমরা প্রশাসনকে জানাব। সুরাহা না হলে আদালত পর্যন্ত যাব।
হামলা প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?
আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি স্বপন নন্দী সমস্ত অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, এটা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। মারধর লুটপাট এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। কোন্দল ঢাকতে ওরা আমাদের দলের নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours