Gyanvapi Mosque: কঠোর নিরাপত্তা! জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে এএসআই-এর ‘বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা’ শুরু

Kashi Vishwanath Temple: নিরাপত্তার স্বার্থে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে ৭ অগাস্ট পর্যন্ত নিষিদ্ধ মোবাইল
Gyanvapi_Mosque
Gyanvapi_Mosque

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদে (Gyanvapi Mosque Survey) বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার কাজ শুরু করল ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (ASI)। এলাহাবাদ হাইকোর্টের ছাড়পত্র পাওয়ায় শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপেই শুরু হয়েছে সমীক্ষার কাজ। কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে এএসআই-এর পুরাতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা জ্ঞানবাপী চত্বরে ঢুকে কাজ শুরু করেছেন। সপ্তদশ শতকে তৈরি মসজিদটি কোনও হিন্দু মন্দির ভেঙে গড়া হয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখবেন প্রত্নতাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞরা। এএসআই-এর দলের সঙ্গে  হিন্দু পক্ষের প্রতিনিধি হিসেবে রয়েছেন আইনজীবী সুধাকর ত্রিপাঠী। বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার কাজ বয়কট করেছে মসজিদ কমিটি। ফলে তাদের কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত নেই। 

সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মসজিদ কমিটি

বারাণসী জেলা আদালতের বিচারক অজয় কুমার বিশ্বেসের নির্দেশ অনুযায়ী, এদিনই সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করার কথা ছিল ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের। কিন্তু আইনি লড়াই পেরিয়ে যেহেতু এদিনই সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে, তাই কবে ওই রিপোর্ট জেলা আদালতে জমা পড়বে তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি সমীক্ষার দায়িত্বে থাকা এএসআই আধিকারিকরা। এদিকে, হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে মুসলিম পক্ষ। শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জরুরি ভিত্তিতে আবেদন শুনবেন। মুসলিম পক্ষের দাবি, এই জরিপ (Gyanvapi Mosque Survey) আইন বিরুদ্ধ এবং এতে মসজিদের ক্ষতি হতে পারে। যদিও এলাহাবাদ হাইকোর্ট বৃহস্পতিবারের রায়ে স্পষ্ট বলেছে, জরিপের সময় কোনও ধরনের খনন কাজ করা যাবে না। মসজিদের একটি ইটও সরানো যাবে না।

আরও পড়ুন: ফের উত্তপ্ত মণিপুর! পুলিশকর্তার হত্যা, অস্ত্রাগার লুঠ বিক্ষোভকারীদের

কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা

এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় এবং জরিপ ঘিরে বারাণসীতে হাই অ্যালার্ট জারি হয়েছে। কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (Kashi Vishwanath Temple) এবং জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Mosque Survey) পরিসরে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে ৭ অগাস্ট সোমবার পর্যন্ত। জ্ঞানবাপী মসজিদটি বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পাশে অবস্থিত। মন্দির ভেঙে মসজিদটি তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ করে মামলা করে হিন্দু সংগঠন। মসজিদের স্থানে আগে হিন্দু মন্দির ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখতে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা দাবি ওঠে। সেই থেকেই শুরু বিতর্ক। মসজিদ চত্বরের পাশ থেকেই কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের করিডরে প্রবেশ করেন শয়ে শয়ে ভক্ত। কোনওভাবে যাতে তাঁরা এই এএসআই-এর সার্ভে ক্যামেরাবন্দি না করে বসেন, তা আটকাতেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ৭ অগাস্ট পর্যন্ত এএসআই-এর সার্ভে চলাকালীন জারি থাকবে এই নিষেধাজ্ঞা। আপাতত বিশ্বনাথ করিডরের গঙ্গাদ্বার পর্যন্ত মোবাইল নিয়ে যাওয়ার অনুমতি রয়েছে ভক্তদের। কিন্তু, তার বেশি মোবাইল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হলে আটকাবে বারাণসী পুলিশ। শহরে বিপুল সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জরিপ চলাকালে জ্ঞানবাপীতে জুম্মার নমাজ চলবে। শহরের অন্য মসজিদ, মন্দিরেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles