মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফের উত্তপ্ত মনিপুর (Manipur violence)। উত্তর বোলজাংয়ে তল্লাশির সময় অসম রাইফেলস জওয়ানদের ওপর গুলি বৃষ্টি শুরু হয়। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনী। তিন জওয়ান জখম হয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। শুধু পশ্চিম ইম্ফল নয় মনিপুরের অন্য অংশেও নতুন করে হিংসার খবর পাওয়া গিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখছে না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। চলছে রাত দিন টহলদারি, মানুষের আস্থা ফেরানোর কাজও। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ২৪ শে জুন মনিপুরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলেন। পূর্ব ভারতের এই রাজ্যে শান্তি প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে অমিত শাহর এই পদক্ষেপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
মণিপুর নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, মণিপুরে শান্তি (Manipur violence) ফেরাতে আগামী ২৪ জুন সর্বদলীয় বৈঠকে বসবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেদিন সাউথ ব্লকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অফিসেই ৩টে নাগাদ বৈঠকটি হবে। মণিপুরে কীভাবে শান্তি ফেরানো যায়, তা নিয়েই আলোচনা করা হবে। ইতিমধ্যেই বিরোধীরা কেন্দ্রকে মণিপুর নিয়ে চিঠি লিখেছেন। এদিকে মণিপুরেরও ৯ জন বিধায়ক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অনাস্থা ব্যক্ত করেছেন। এই আবহে অবশেষে বৈঠক ডাকছেন শাহ।
নতুন করে হিংসা মণিপুরে
জনজাতি গোষ্ঠীর অশান্তির আগুনে পড়ুছে মণিপুর (Manipur)। গোষ্ঠীহিংসার জেরে মৃত্যু হয়েছে ১১৫ জনের। ঘরছাড়া ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ। সরজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পরিস্থিতি তারপর কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও নতুন করে হিংসার ঘটনা এড়ানো যাচ্ছে না। তার বড় উদাহরণ বলজাংয়ে অসম রাইফেলসের জওয়ানদের ওপর গুলি বর্ষণ। চিরুনি তল্লাশি চালানোর সময় ঘটনাটি ঘটে। কে বা কারা এর সঙ্গে জড়িত তা এখনও পর্যন্ত চিহ্নিত করা যায়নি। তবে অনেকের মনে হচ্ছে মনিপুরের শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া বিঘ্নিত করতেই এই পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন: সবুজ হিরে-চন্দনকাঠের বাক্স, মার্কিন ফার্স্ট লেডিকে উপহার দিলেন মোদি
বুধবার উত্তর-পূর্বের এই অশান্ত রাজ্যে (Manipur violence) পাঁচটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মনিপুরের বিষ্ণুপুর জেলার কাউক্তয় একটি গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, চালক গাড়ি বন্ধ করে বেরিয়ে আসার পরেই ঘটনাটি ঘটে। এতে তিন পথচারী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের ভর্তি করা হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে। গত ৩ মে থেকে জাতিদাঙ্গায় জ্বলছে মণিপুর। হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করেও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না কুকি এবং মেইতেই জনগোষ্ঠীর সংঘর্ষ। সম্প্রতি মণিপুর সরকারের এক রিপোর্ট বলা হয়েছে, রাজ্যে মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশ ঘটছে। প্রায় ২ হাজার অনুপ্রবেশকারী রয়েছে রাজ্যে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours