Assembly By-Election 2024: বিজেপি ৫২, তৃণমূল ৯৭১! উপ নির্বাচনে শাসকের ভোট লুটের অজস্র নগ্ন ছবি প্রকাশ্যে

Empty Booth: চার উপ নির্বাচন কেন্দ্রে শাসক-বিরোধী ভোটে বিরাট ব্যবধান! কী বলছে তথ্য?
Assembly_By-Election_2024
Assembly_By-Election_2024

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপনির্বাচনেও ফাঁকা বুথ (Empty Booth), কিন্তু এতো ভোট কারা দিলেন? এই ভূতুড়ে ভোটারদের ঘিরে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। রানাঘাট দক্ষিণের উপনির্বাচনের (Assembly By-Election 2024) চিত্রটাই ছিল ঠিক এমনই। জ্ঞানদাসুন্দরী প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল ১২৭ নম্বর বুথ। এই ভোটকেন্দ্রে সিপিএম পেয়েছে ৮ ভোট, বিজেপি পেয়েছে মাত্র ৫২ ভোট। অপর দিকে তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছেন ৯৭১ ভোট। বুথে মোট ভোটারদের ৯৩.৬৪ শতাংশ একক ভাবে পেয়েছে রাজ্যের শাসক দল। এই প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ দেখেই উঠছে প্রশ্ন। আবার কুঞ্জবিহারী দাস প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রুম নম্বর ২। সেখানে সিপিএম পেয়ছে ১১ এবং বিজেপি পেয়েছে ৬৪, তৃণমূলের ভোট ৫০৯। বুথে ভোট পড়ার পরিমাণ ৮৫.৯৮ শতাংশ। এই দুই বুথ থেকেই বোঝা যাচ্ছে কীভাবে ভোট হয়েছে। যদিও বিজেপির অভিযোগ, এটাই হল তৃণমূলের ‘ডায়মন্ড হারবার মডলে।’

মাণিকতলায় তৃণমূলের ভোট শতাংশ (Assembly By-Election 2024)

নির্বাচন কমিশনের তথ্যের সূত্র দেখে জানা গিয়েছে, রাণাঘাট দক্ষিণের অন্তত ১৪টি ভোটকেন্দ্রে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট (Assembly By-Election 2024) ৮০ শতাংশ। আবার মাণিকতলায় গত লোকসভার ভোটে তৃণমূলের থেকে বিজেপি এগিয়ে ছিল প্রায় সাড়ে ৩ হাজার ভোটে। ১৬ এবং ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল বিজেপি। আবার উপনির্বাচনে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে থেকেই তৃণমূলের লিড ৩৫৭০ ভোটে। ৬৩ নম্বর বুথে বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে মাত্র ১০০ ভোট পেলেও, সিপিএম ২৮, কিন্তু তৃণমূলের সুপ্তি পাণ্ডে পেয়েছেন ৭১৬ ভোট। আবার ৭৫ নম্বর বুথে বিজেপি পেয়েছে ৬৭ ভোট, সিপিএম পেয়েছে ৯ ভোট আর তৃণমূল ৪৭৬ ভোট। একই কেন্দ্র ১৪৫, ১৪৬, ১৪৭, ১৪৮ নম্বর বুথে বিজেপি, সিপিএমের ভোট একই। কিন্তু তৃণমূলের ভোটের ক্রমটা ৩৪২, ৩৯২, ৩৬২, ৩৬৭, ৩৪৯। দেখেই যেন মনে হবে কেউ তৃণমূলের জন্য ভোটের নম্বর মনগড়া বসিয়েছেন। তাই প্রশ্ন উঠেছে তৃণমূলের ভোট (Empty Booth) নিয়ে।

বাগদা এবং রায়গঞ্জে ভোটের পরিমাণ

আবার বাগদা কেন্দ্রের ২৩৩, ২৩৫, ২৪০, ২৭৮ নম্বর বুথে ভোট লুট (Assembly By-Election 2024) হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। ২৩৫ নম্বর বুথে তৃণমূল প্রার্থী মধুপর্ণা ঠাকুর পেয়েছেন ৮৪৪ ভোট। ফরওয়ার্ড ব্লকের গৌর বিশ্বাস ৩০ এবং বিজেপির বিনয় বিশ্বাস ১০। একই ভাবে ২৩৩ নম্বর বুথে তৃণমূল ৬৭৮, ফরওয়ার্ড ব্লক ৪৭ এবং বিজেপি ৫৫। আবার ২৪০ নম্বর বুথে তৃণমূল ২৮১, ফরওয়ার্ড ব্লকের ২ এবং বিজেপি ৩৪। তাই ভোট কীভাবে হয়েছে, তা নিয়ে শাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি। রায়গঞ্জের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ৯৩ হাজার ৪০২ ভোট, আর তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিল ৪৬ হাজার ৬৬৩ ভোট। এক মাস পরে উপনির্বাচনে বিজেপির হয়ে গেল ৩৬ হাজার ৪০২ ভোট আর তৃণমূল পেয়েছে ৮৬ হাজার ৪৭৯ ভোট। এই ভোট গ্রহণ এবং ফলে বিরোধীরা শাসক দলের ষড়যন্ত্র মনে করছে।

আরও পড়ুনঃ কেউ পাননি ভাতা কারও কপালে জোটেনি ডিম-ভাত! ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল কর্মীরাই

শুভেন্দুর বক্তব্য

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “রাণাঘাট দক্ষিণে ৭০ হাজার, বাগদায় ২০ হাজার এবং রায়গঞ্জে ৫০ হাজার ভোটারকে ভোট (Assembly By-Election 2024) দিতে দেয়নি তৃণমূল। মাণিকতলায় ৮টি ওয়ার্ডে লুট করেছে তৃণমূল। সেই সঙ্গে হিন্দুদের ভোট দিতে দেয়নি।” অপর দিকে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, “কাউকে কোথাও ভোটে বাধা দেওয়া হয়নি। বিজেপির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।”

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles