মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান। একের পর এক পড়ুয়া আসছেন, শংসাপত্র নিচ্ছেন। তাঁদের কয়েকজনের বুকে আঁটা প্যালেস্তাইনের ব্যাজ (Anti Israel Sentiments)। গত ৪ অগাস্টের ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
প্যালেস্তাইনের ব্যাজ পরে সমাবর্তনে (Azim Premji University)
গত রবিবার সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন আজিম প্রেমজি বিশ্ববিদ্যালয় (Azim Premji University) কর্তৃপক্ষ। মঞ্চ থেকে শংসাপত্র নিয়ে যাচ্ছেন একের পর এক পড়ুয়া। এঁদেরই কয়েকজনের বুকে প্যালেস্তাইনের ব্যাজ আঁটা। শিক্ষার্থীদের দাবি, আজিম প্রেমজির কোম্পানি উইপ্রোকে তেল আভিভ ইউনিভার্সিটি (ইজরায়েলের রাজধানী তেল আভিভ) ও ইজরায়েলি কোম্পানির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। অশোকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আইআইটি মাদ্রাজের পর এবার আজিম প্রেমজি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে শুরু হল ইজরায়েল বিরোধী প্রচার।
পড়ুয়াদের দাবি
সংবাদ মাধ্যমে এক পড়ুয়া বলেন, “আমরা ইজরায়েলি বহুজাতিক কোম্পানির কাছ থেকে কোম্পানিকে বিচ্ছিন্ন করার দাবি জানিয়েছিলাম। প্যালেস্তাইনে যে গণহত্যা হচ্ছে, তা রুখতে অর্থায়ন বন্ধের দাবিও জানিয়েছিলাম।” ছাত্র প্রতিনিধিদের দাবি, ৮০ জন শিক্ষার্থী এদিন এই ব্যাজ পরেছিলেন। আজিম প্রেমজি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র বলেন, “সংহতির নিদর্শন হিসেবে কয়েকজন পড়ুয়া প্যালেস্তাইনের পতাকা আঁকা ব্যাজ পরেছিলেন। অবশ্য কোনও ঝামেলা ছাড়াই সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ক্যাম্পাসে কোনও প্রতিবাদও হয়নি।”
Massive rally taken out by students of Azim Premji University in solidarity with the Palestinians. Hundreds of students gathered today after classes to extend their support to the cause of liberation of Palestine from Israeli settler colonialism. pic.twitter.com/ZjfPZTFjB2
— imran gowhar (@imrangowhar) October 17, 2023
অন্য এক শিক্ষার্থী বলেন, “আজিম প্রেমজি (Azim Premji University) ফাউন্ডেশনে অর্থায়ন করে উইপ্রো। মানব হিতৈষি নামে এর খ্যাতিও রয়েছে। একদিকে তারা মানব কল্যাণে কাজ করছে, এমন ভাবমূর্তি তুলে ধরছে আর অন্যদিকে, তারা ইজরায়েলি সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে, যে ইজরায়েল প্যালেস্তাইনে গণহত্যা চালাচ্ছে। আমাদের দাবি, কোম্পানিকে ইজরায়েলে বিনিয়োগ বন্ধ করতে হবে। পাশে দাঁড়াতে হবে প্যালেস্তাইনের নাগরিকদের।
আরও পড়ুন: নিশানায় কংগ্রেস, 'দেশ বিরোধী শক্তি’ নিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করলেন ধনখড়
প্রসঙ্গত, ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলে প্রথমে হামলা চালায় হামাস। ইজরায়েলের পড়শি প্যালেস্তাইনের একটা অংশ দখল করে রেখেছে এই মুসলিম জঙ্গি গোষ্ঠী। তারা নির্বিচারে খুন করে ইজরায়েলবাসীকে। এর পর প্রতিরোধ গড়ে তোলে ইজরায়েল। শুরু হয় হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান। হামাস- ইজরায়েলের এই দ্বন্দ্বে ভারত ইজরায়েলের পক্ষ নেয়। তবে যুদ্ধ বিধ্বস্ত হামাসে মানবিক সাহায্যও পাঠায় মোদির ভারত। এমতাবস্থায় ইজরায়েল বিরোধী শক্তির পাশে দাঁড়িয়ে ওই ছাত্ররা ভারতকে অপ্রস্তুতে ফেলল (Anti Israel Sentiments) বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের (Azim Premji University)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours