মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুমির মানেই আমাদের কাছে তা হিংস্র জীব। আর কুমিরকে ভয় পান না এমন বীরপুরুষ হাতেগোনা। কিন্তু সেই কুমীরই যদি নিরামিষাশী হয় আর মন্দিরের প্রসাদ খেয়ে বেঁচে থাকে। বিশেষ করে পুরোহিত যদি তাঁকে নিজের হাতে প্রসাদ খাইয়ে দেন বা সকলের সামনে কুমিরটির চোয়ালে চুমু খান, সেক্ষেত্রে বিস্ময় তৈরি হতে বাধ্য।
এমনই বিস্ময়কর ঘটনার নিত্যদিন সাক্ষী থেকেছেন কেরলের পদ্মনাভস্বামী মন্দিরের দর্শনার্থীরা। মন্দিরের পূজারীর থেকে শুরু করে সাধারণ দর্শনার্থীরা ঈশ্বর রুপে দেখেন এই কুমিরটিকে।কেরলের এই পদ্মনাভস্বামী মন্দিরে বিষ্ণু পূজিত হন। মন্দিরের পুরোহিতদের দাবি এই কুমিরটি স্বয়ং ভগবান বিষ্ণুর অবতার তাই সে মন্দিরের প্রসাদান্নে তুষ্ট থাকত।
বাবিয়া নামে এই কুমিরটি গতকাল রবিবার মারা গিয়েছে। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ৭৫ বছর বয়সী এই কুমিরটি বেশ কিছু দিন ধরে ভালো করে খেতে পারত না। রবিবার মন্দিরের কাছে পুকুর থেকে কুমিরটির মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। কুমিরটির মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে মন্দিরে।
[tw]
Babiya, the god's own crocodile of Sri Anantapura Lake temple has reached Vishnu Padam.
— Shobha Karandlaje (@ShobhaBJP) October 10, 2022
The divine crocodile lived in the temple's lake for over 70years by eating the rice & jaggery prasadam of Sri Ananthapadmanabha Swamy & guarded the temple.
May she attain Sadgati, Om Shanti! pic.twitter.com/UCLoSNDiyE
[/tw]
আরও পড়ুন: হিন্দু মন্দিরে হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ, ব্রিটিশ বিদেশ সচিবের সঙ্গে বৈঠক জয়শঙ্করের
মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কবে ওই কুমিরটি মন্দির চত্বরের পুকুরে এসেছিল, বা কে নামকরণ করেছিল তার, সে বিষয়ে কেউই জানেন না। পূজারীদের মতে, ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ওই মন্দিরে বাস করছিল কুমিরটি। মন্দিরের প্রধান পুরোহিত চন্দ্রশেখর জানিয়েছেন, বাবিয়া খুবই নিরীহ ছিল। প্রত্যহ তাঁর সাথে পুকুরে নেমে দু’বার স্নান করতেন প্রধান পুরোহিত। প্রসাদান্নের থালা হাতে মন্দিরের লাগোয়া পুকুর ঘাটে নেমে নিজে হাতে বাবিয়াকে ভাত খাওয়াতেন তিনি।
তবে, কুমির বিশেষজ্ঞ অনির্বাণ চৌধুরী বলেছিলেন, ‘‘বিষয়টি কিছুটা হলেও অস্বাভাবিক। যে কুমিরটিকে নিরামিষাশী বলে বর্ণনা করা হচ্ছে, সেটি আসলে মিষ্টি জলের কুমির (মগর)। মাছ এদের স্বাভাবিক খাদ্য। তবে হরিণ, বন্য শূকরের মতো প্রাণীর মাংসও খায় এরা।’’তবে অনির্বাণের কথায়, ‘‘কুমিরের বেঁচে থাকার তাগিদ অন্যান্য জীবজন্তুর থেকে অনেক বেশি। এরা যে কোনও পরিস্থিতিতে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে। তবে বিকল্প থাকলে এরা সব সময় স্বাভাবিক খাবার বেছে নেয়। সে ক্ষেত্রে মাছ পেয়েও তা না খাওয়ার বিষয়টি কিছুটা অদ্ভুত।’’
+ There are no comments
Add yours