মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরের শুরুতেই বালুরঘাট থেকে ছুটবে বেঙ্গালুরুগামী ট্রেন। শুধু তাই নয়, দিল্লি বা গুয়াহাটিকে পিছনে রেখে বেঙ্গালুরুকেই কেন এক্ষেত্রে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছেন তারও বিস্তারিত ব্যাখ্যা রেলমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেছেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সিক ও পিট লাইনের কাজ দ্রুত সমাপ্তির পথে। যা চলতি বছরে শেষ হওয়ার মধ্যেই বালুরঘাট থেকে চালু হবে বেঙ্গালুরুগামী ট্রেন। এই খবর সামনে আসতেই রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে গোটা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?
রাজ্যের প্রত্যন্ত ও সীমান্ত অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা। ভারত-বাংলাদেশের তিনদিক সীমান্ত বেষ্টিত এই জেলায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বলতে মূলত সড়ক ব্যবস্থাকেই বোঝায়। অথচ কৃষিপ্রধান এই জেলার মানুষকে চিকিৎসার জন্য প্রায় ছুটতে হয় বেঙ্গালুরুতে। শুধু তাই নয়, হিলি চেকপোস্ট পেরিয়ে প্রতিদিনই বেঙ্গালুরুতে চিকিৎসার জন্য এপারে আসেন কয়েকশো বাংলাদেশি মানুষ। সেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মানুষই স্বাধীনতার প্রায় ৫৬ বছর পর প্রথম ট্রেনে চড়ার স্বাদ পেয়েছিল। কিন্তু, তারপর হাতে গোনা দু'চারটি ট্রেন ব্যবস্থায় কলকাতার সঙ্গে কিছুটা যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হলেও দূরপাল্লার কোনও ট্রেন আজও চালু না হওয়ায় চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্যা সেই তিমিরেই রয়ে গেছে। এবার বিজেপি সাংসদের উদ্যোগে এই স্টেশন থেকে দুরপাল্লার ট্রেন চলাচল করা শুরুর পথে। এই বিষয়ে বালুরঘাটের স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আমরা আমাদের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বালুরঘাট থেকে বেঙ্গালুরুতে ট্রেন চলাচল করার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য। আমাদের চিকিৎসা করতে মাঝের মধ্যে বেঙ্গালুরুতে যেতে হয়। বালুরঘাট থেকে যদি বেঙ্গালুরুতে ট্রেন চলে তাহলে আমাদের জেলাবাসীর খুব সুবিধা হবে। আমরা চাই, দ্রুত বালুরঘাট থেকে বেঙ্গালুরু ট্রেন চলাচল শুরু হোক।
বেঙ্গালুরুগামী ট্রেন চালু নিয়ে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)
বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, এই লোকসভা কেন্দ্রের বিগত সাংসদরা রেলমন্ত্রীর কাছে শুধুমাত্র দূরপাল্লার ট্রেনের দরবারই শুধু করে গিয়েছেন। কিন্তু, তারপর সেগুলো কেন বাস্তবায়ন হয়নি তার কোনও খোঁজও নেননি তাঁরা। প্রথমত, বিষয়টি বুঝতে গিয়ে আমিও কিছুটা হোঁচট খেয়েছিলাম। কিন্তু, সেখানে থেমে না গিয়ে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করেছি। তারপরেই সিক ও পিট লাইনের কথা জানতে পেরেছি। সিক ও পিট লাইন একটি রেলস্টেশনকে নাবালক থেকে সাবালক স্তরে নিয়ে গিয়ে পৌঁছায়। যা পূর্ণাঙ্গ রূপ পেলেই সেই স্টেশন থেকে দূরপাল্লার সমস্ত ট্রেন চলাচল করতে পারে। বিষয়টি জানার পরেই রেলমন্ত্রীর সঙ্গে এনিয়ে দরবার করি। প্রায় ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দে বালুরঘাট স্টেশনকে সাবালকত্ব রূপ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। চলতি বছরেই যার পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে বালুরঘাট রেলস্টেশন। আর এরপরেই এই স্টেশন থেকে ছুটবে দূরপাল্লার বিভিন্ন রুটের ট্রেন। এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'চিকিৎসা ব্যবস্থায় অনেকটাই পিছিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর। জেলাবাসীর সুবিধার জন্য ও এ জেলার মানুষকে চিকিৎসার জন্য প্রায় যেতে হয় বাইরে। জেলার মানুষ হিসাবে বিষয়টি উপলব্ধি করে সাংসদ হিসাবে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করি। যাতে জেলার মানুষ চিকিৎসা করতে যেতে সুবিধা হয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours