Bangladesh: পুজোর আগে ফের দুর্গার প্রতিমা ভাঙচুর বাংলাদেশে! গ্রেফতার মুসলিম যুবক

Hindu torture: সঙ্কটে হিন্দুরা! পুজোর আগে ফের বাংলাদেশে প্রতিমা ভাঙল মৌলবাদীরা…
Bangladesh
Bangladesh

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের রাজত্বে হিন্দু নির্যাতন এখনও অব্যাহত। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে হাসিনা সরকারের পতন ঘটার পর থেকে মৌলবাদী কট্টর মুসলমানদের আগ্রাসনের (Hindu torture) শিকার হচ্ছে সেদেশের হিন্দুরা। হাতে মাত্র আর কয়েকদিন বাকি দুর্গাপুজোর। ইতিমধ্যে দেশের নানা প্রান্ত থেকে বারবার হিন্দু মন্দির এবং দুর্গা মূর্তির ভাঙচুরের খবর উঠে আসছে। বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর শহরে একজন কট্টরপন্থী মুসলিম যুবক দেবী দুর্গা এবং অন্যান্য হিন্দু দেবতার মূর্তি ভাঙচুর করেছে। অভিযুক্তের নাম ইয়াসিন মিয়াঁ (২২)। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ঢাকার উত্তরায় দুর্গাপুজো না করার দাবি নিয়ে জামাত শিবিরের সমর্থকরা বিরাট মিছিল করেছে রাজপথে। সেখানে হিন্দুদের উদ্দেশ্য করে চরম হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। সামজিক মাধ্যমে এই ভিডিও ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে। তার পরই এই হামলার খবর। ফলে, দুর্গাপুজো নিয়ে চরম আতঙ্কে রয়েছেন বাংলাদেশের হিন্দুরা।

গোবিন্দজিউ মন্দিরে ঢুকে মূর্তি ভাঙচুর (Bangladesh)!

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ইয়াসিন মিয়াঁ বুধবার ভোররাতে গৌরীপুর (Bangladesh) শহরে গোবিন্দজিউ মন্দিরের প্রাঙ্গণে ঢুকে পড়ে। এরপর গত ২০ দিন ধরে যে দেবী দুর্গার মূর্তিগুলি তৈরি করা হচ্ছিল, তা নির্বিচারে ভাঙচুর করা হয়। মূর্তিগুলিকে ভাঙার সময় স্থানীয় ডলি রানী নামে এক হিন্দু মহিলা, এই অপকর্ম করতে দেখে ফেলেন। ঘটনাস্থলের দৃশ্য দেখে অত্যন্ত ভয় (Hindu torture) পেয়ে যান তিনি। খবর পেয়ে, অভিযুক্তকে ধরে ফেলেন দুই স্থানীয় অখিল চন্দ্র বিশ্বশর্মা এবং বিপুল ঘোষ। এরপর অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

অভিযুক্ত মানসিক ‘প্রতিবন্ধী’-র তত্ত্ব!

চলতি বছরের ৯ অক্টোবর থেকে হিন্দুদের দুর্গাপুজো শুরু হবে। গৌরীপুরের (Bangladesh) গোবিন্দজিউ মন্দিরে বড় করে দুর্গাপুজো হয়। এখানকার হিন্দুরা এই পুজোতে একত্রিত হন। ওই মন্দিরে মৃৎশিল্পীরা আরও একাধিক মূর্তি তৈরি করছিলেন। ইতিমধ্যে ধৃত মুসলিম ব্যক্তিকে এখন পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, আবদুর হান্নানের ছেলে ইয়াসিনের বাড়ি গৌরীপুর উপজেলার গজান্দার গ্রামে। তবে অভিযুক্তের মা মিনা আখতার দাবি করেছেন, ছেলে মানসিক প্রতিবন্ধী। উল্লেখ্য, যখনই মন্দির ভাঙা হয় আর অভিযুক্তদের ধরা হয়, তখনই প্রতিবন্ধী বা বিকারগ্রস্তের তত্ত্ব দিয়ে তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়। এমনটাই স্থানীয় হিন্দুদের অভিযোগ। এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের (গৌরীপুর উপজেলা) সভাপতি বলেন, “নির্মীয়মাণ সব মাটির মূর্তিগুলিকেই কমবেশি ভাঙা হয়েছে। কেন এটা করা হল বুঝতে পারছি না। আমি আমার জীবনে এমন ঘটনা আগে দেখিনি। হিন্দুদের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র (Hindu torture) চলছে।”

আরও পড়ুনঃ রাষ্ট্রপুুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদের দাবিকে জোরালো সমর্থন ফ্রান্সের

লাগাতার হিন্দুদের উপর হামলা

বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে হিন্দু পরিবার থেকে শুরু করে মন্দির, দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অন্তত ২০৫টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। খুলনা শহরের সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকায় মিথ্যা অভিযোগে উৎসব মন্ডল নামে এক হিন্দু ছেলেকে উগ্র মুসলিম জনতা কীভাবে প্রায় পিটিয়ে মেরে ফেলেছিল (Hindu torture) সেই কথাও সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে কীভাবে মুসলিম ছাত্ররা ৬০ জনের বেশি হিন্দু শিক্ষক, অধ্যাপক এবং সরকারী কর্মকর্তাদের পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে, সেই কথাও দেশের হিন্দু নির্যাতনের চিত্রকে স্পষ্ট করেছে।

জামাত শিবিরে যোগ দিতে চাপ হিন্দুদের

মানবাধিকার কর্মী এবং নির্বাসিত বাংলাদেশি ব্লগার আসাদ নূর সম্প্রতি জানান, হিন্দু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে এখন 'জামাতে ইসলামি'তে যোগ দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। একই ভাবে হিন্দুদের উপর আক্রমণের ঘটনার কথা তুলে ধরে সামজিক মাধ্যমে সরব হয়েছেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিন। গত ৬ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম শহরের কদম মোবারক এলাকায় গণেশের মূর্তি নিয়ে শোভাযাত্রার সময় হিন্দু ভক্তদের উপর হামলা করেছিল কট্টরপন্থীরা। একই ভাবে পুজো করতে গেলে পুজো উদ্যোগতাদের কাছে ৫ লক্ষ করে টাকার দাবিও করছে বিএনপি এবং জামাত শিবির। উল্লেখ্য কয়েক বছর চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, যশোর, বরিশালের দুর্গাপুজোর উপর ব্যাপক ভাবে আক্রমণ করেছিল দুষ্কৃতীরা। ইসকনের একাধিক ভক্তকে হত্যা করার ঘটনাও ঘটানো হয়েছিল। রাজনৈতিক ভাবে অস্থির বাংলাদেশে সবথেকে বেশি নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন কেবল মাত্র হিন্দুরা। অপর দিকে, সেনাবাহিনী এবং ইউনূস প্রশাসন এই বিষয়ে নির্বাক।  

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles