মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (Bangladesh Protest) জেরে গত কয়েক দিনে বাংলাদেশে যে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, তা এখনও পুরোপুরি কাটেনি। ঢাকার রাজপথে এখনও পুলিশি টহল জারি। মোতায়েন রয়েছে সেনাবাহিনী এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের জওয়ান। এই আন্দোলনে এখনও পর্যন্ত মৃতের (Bangladesh Student Death Updates) সংখ্যা ২০০-র গণ্ডি ছাড়িয়েছে।
ঢাকায় মৃত্যু হিন্দু ছাত্রীর (Bangladesh Protest)
রিপোর্ট অনুযায়ী, বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনজনের মৃত্যু হয়। মৃতদের (Bangladesh Student Death Updates) মধ্যে একজন হলেন হিন্দু ছাত্রী। নাম রিয়া গোপ। বয়স মাত্র ১৯ বছর। জানা গিয়েছে, নিজের বাড়ির ছাদে থাকার সময় আচমকাই গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। এর আগে গত মঙ্গলবার সাভারের এক হাসপাতালে আরও একজনের মৃত্যু ঘটেছিল। সূত্রের খবর, বুধবার পর্যন্ত গোটা দেশে অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে ১৭৫৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের তালিকায় রয়েছেন বিএনপি ও জামাতের বেশ কয়েক জন নেতাও।
আরও পড়ুন: অলিম্পিক্সে বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা! অস্ট্রেলিয়ার পাঁচ খেলোয়াড় আক্রান্ত
বাংলাদেশে এখনও জারি কার্ফু
বাংলাদেশে এখনও কার্ফু জারি রয়েছে। তবে তা আংশিক ভাবে শিথিল করা হয়েছে। সার্বিক ভাবে এখন সেদেশে হিংসা কমেছে। অফিস খুলে গিয়েছে বুধবারই। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও নরসিংদী বাদে বাকি ৬০ জেলায় কারফিউ শিথিলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনকে। এছাড়া সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত চলবে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস। বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিও সীমিত পরিসরে খোলা রাখার অনুমতি পেয়েছে। তবে এখনও খোলেনি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকায় মোতায়েন রয়েছে সেনা। তবে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করে দেওয়া হয়েছে। এই আবহে সেদেশের পরিস্থিতি ক্রমেই স্বাভাবিক হচ্ছে বলে দাবি হাসিনা সরকারের। তবে বিক্ষিপ্ত ভাবে হিংসা জারি (Bangladesh Protest) থাকার জেরে এখনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার জন্য অপেক্ষা করতে চাইছে হাসিনার সরকার। তারপর পর্যায়ক্রমে খোলা হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে (Bangladesh Protest) কেন্দ্র করে বাংলাদেশে শুরু হয়েছিল হিংসা। এ অবস্থায় প্রতিবেশী দেশটির সার্বিক পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাওয়ায়, শুক্রবার রাতে জারি করা হয় কার্ফু। অসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় সেদিন মধ্যরাতে মাঠে নামে সেনবাহিনী। এরপর রবিবার থেকে সব ধরনের অফিস ও দোকান-বাজার বন্ধ ঘোষণা করে জারি করা হয় সাধারণ ছুটি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours