মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইলিশের (Hilsa) উৎপাদন আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। সম্প্রতি জিআই ট্যাগ (G I Tag) পেয়েছে বাংলাদেশি ইলিশ। তারপরেই শুরু হয়েছে ইলিশ উৎপাদনে জোর তৎপরতা। বাংলাদেশের মৎস্যমন্ত্রী এসএম রেজাউল করিম (Rezaul Karim) জানান, বাগদা চিংড়িও পেয়েছে জিআই ট্যাগ।
স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় বাংলাদেশের ইলিশ। গোটা বিশ্বেই কদর রয়েছে বাংলাদেশের এই রুপোলি ফসলের। বিশ্বে সব চেয়ে ইলিশ উৎপাদন হয় বাংলাদেশেই। ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে নানা ব্যবস্থাও নিয়েছে সে দেশের সরকার। প্রজনন মরশুমে মাছ ধরায় জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। ধরা নিষেধ খোকা ইলিশও। এসব কারণেই ফি বছর লাফিয়ে লাফিয়ে বাংলাদেশে বাড়ছে ইলিশের উৎপাদন।
বাংলাদেশের মৎস্যমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে দেশে ইলিশের উৎপাদনের পরিমাণ ছিল তিন লক্ষ মেট্রিক টন। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫.৬৫ লক্ষ মেট্রিক টন। বিদেশে বাংলাদেশি ইলিশের বিপুল চাহিদা। মন্ত্রী জানান, বিশ্বের ৫২টিরও বেশি দেশে বাংলাদেশ প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে ইলিশ রফতানি করে। এদিন ঢাকায় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন করেন রেজাউল। সেখানেই তিনি জানান, ইলিশের কোয়ালিটি যাচাই করতে বাংলাদেশে তিন ধরনের আর্ট ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : চরম বিদ্যুৎ সংকটে বাংলাদেশ! নিয়মিত লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত
কেবল বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশ্ব থেকেই হারিয়ে যাচ্ছেন নানা প্রজাতির দেশীয় মাছ। এদিন সে প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি বিজ্ঞানীরা লুপ্তপ্রায় ৩৬টি প্রজাতির মাছকে ফিরিয়ে এনেছেন। ময়মনসিংয়ে এজন্য একটি জিন ব্যাংকও স্থাপন করা হয়েছে। তিনি বলেন, এই জিন ব্যাংকে একশোরও বেশি প্রজাতির মাছের জিন সংরক্ষণ করা যাবে। এদিন মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে মন্ত্রী একটি রঙিন নৌকো সমাবেশের সূচনাও করেন।
আরও পড়ুন : দু'বছর পর ফের চালু হল ভারত-বাংলাদেশ রেল পরিষেবা
জানা গিয়েছে, গত ষোলো বছরে বাংলাদেশে মাছের উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে। সে দেশের মোট জিডিপির ৩.৫৭ শতাংশ আসে ফিসারিজগুলি থেকে। আর কৃষি থেকে আসে ২৬.৫০ শতাংশ। অন্তর্দেশীয় মৎস্য উৎপাদনে গোটা বিশ্বে বাংলাদেশের স্থান তৃতীয়। তেলাপিয়া উৎপাদনে চতুর্থ স্থান দখল করে বাংলাদেশ। আর ইলিশ উৎপাদনে দেশটির স্থান সবার ওপরে।
+ There are no comments
Add yours