মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারুইপুরে (Baruipur) হত্যাকাণ্ডে দিল্লিতে শ্রদ্ধা-খুনের ছায়া। পুলিশ সূত্রে খবর, দিল্লির (Delhi) শ্রদ্ধা-হত্যার ঘটনা দেখেই খুন করে প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী উজ্জ্বল চক্রবর্তীর দেহ টুকরো করে প্রমাণ লোপাটের ছক কষে তাঁর স্ত্রী ও ছেলে।
দেহ টুকরো করে লোপাটের চেষ্টা
পুলিশের দাবি, বারুইপুরের প্রাক্তন নৌসেনাকর্মী উজ্জ্বল চক্রবর্তীকে খুন করেছেন তাঁর ছেলে ও স্ত্রী। তারপর মাকে সঙ্গে নিয়েই শৌচাগারে বাবার দেহ টুকরো করে ছেলে। করাত দিয়ে ৬ টুকরো করা হয় দেহ। তিনবারে সরানো হয় প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর দেহাংশ। প্রথমবার মাকে নিয়ে সাইকেলে চাপিয়ে দেহাংশ পুকুরে ফেলে আসে ছেলে। পরে আরও দু’বার একাই সাইকেলে দেহাংশ নিয়ে ফেলে আসে ছেলে জয়।
আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা
গার্হস্থ্য হিংসার জের
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, নৌসেনা থেকে অবসরের পর সারাক্ষণ নেশা করতেন উজ্জ্বল। তাঁর ছেলে জয় চক্রবর্তী পলিটেকনিক নিয়ে পড়াশোনা করে। ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় কোর্স ফি দেওয়া নিয়ে বাবার সঙ্গে বিবাদ বাধে ছেলের। এর জেরে ছেলের গায়ে হাত তোলে বাবা। বাবাকেও ধাক্কা দেয় জয়। মাটিতে পড়ে যান উজ্জ্বল। স্ত্রী শ্যামলীর গায়েও হাত তোলেন উজ্জ্বল। তাঁকে আটকাতে গিয়ে তাঁর গলা টিপে ধরে ছেলে। তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করে জয়। জেরায় জয় জানিয়েছে, সে বুঝতে পারেনি বাবা মারা যাবেন। কিন্তু পরে যখন বুঝতে পারে তখন ভয় পেয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করে। ঘটনার সময় সামনেই ছিলেন উজ্জ্বলবাবুর স্ত্রী শ্যামলী। বারুইপুর পুলিশের এসপি বলেন, "ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স ও নেশা করা যে সমাজের জন্য কতটা ক্ষতিকর, এই ঘটনা তারই প্রমাণ।"
আরও পড়ুন: প্রাথমিকে ৩২৫ জনের নিয়োগ করতে টাকা নিয়েছিলেন মানিক! ইডির হাতে নতুন তথ্য
কীভাবে মিলল দেহ
গত ১৭ নভেম্বর বারুইপুর –মল্লিকপুর সড়কের পাশে মদনমাল্য গ্রামের পুকুর থেকে উদ্ধার হয় উজ্জ্বলবাবুর দেহ। দেহের হাত পা ছিল কাটা। দেহটি গোসাপ খাচ্ছিল। তাই দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। শ্যামলীদেবী দেহ সনাক্ত করেন। তিনি জানান ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় নেশা করতে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর স্বামী। কিন্তু গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে সময়ের কথা শ্যামলীদেবী বলছেন, তখন বাড়ি থেকে বেরোতে দেখা যায়নি উজ্জ্বলবাবুকে। এর পরই মা ও ছেলেকে লাগাতার জেরা শুরু করেন গোয়েন্দারা। জেরায় ঘটনার কথা স্বীকার করে জয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours