মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন পরই হচ্ছে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Poll)। তার আগেই মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের সাদিকপুরে এক জোট প্রার্থীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুলি করে খুনের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর ছেলে মকবুল শেখকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত জোট প্রার্থীর নাম বদর শেখ। তিনি সিপিএমের এরিয়া কমিটির সদস্য ও রঘুনাথগঞ্জ ১ পঞ্চায়েত সমতিরি এবারের জোট প্রার্থী। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?
পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Poll) নিয়ে এলাকা সরগরম। বৃহস্পতিবার জোট প্রার্থী বদরসাহেব হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। রাস্তাতেই তৃণমূলের লোকজন পথ আটকায়। প্রথমে দুপক্ষের মধ্যে বচসা হয়। পরে, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বেধড়ক মারধর করে। পরে, ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কোপায়। বিষয়টি জানতে পেরে প্রার্থী ছেলে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে তিনিও আক্রান্ত হন। ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কোপানো হয়। এরপরই জোট প্রার্থীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। তাঁর পায়ে গুলি লাগে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে তাঁদের ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে, এদিন সাদিকপুরে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে জোট প্রার্থী সাহিদা খাতুন বাড়িতে দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়। বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ। হামলার জেরে চারজন জখম হয়েছেন।
কী বললেন সিপিএম নেতৃত্ব?
সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য সোমনাথ সিংহরায়ের বক্তব্য, বৃহস্পতিবার ভোরে এই ঘটনায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা জড়িত। দুষ্কৃতীরা প্রথমে দলীয় প্রার্থী বদরের পরিবারের লোকজনের মোবাইল কেড়ে নেয়। তারপর ওই প্রার্থীর উপর হামলা চালায়। এলাকায় পঞ্চায়েতের প্রার্থীর বাড়িতে বোমাবাজি হয়েছে। প্রায় দু’ঘণ্টা পর পুলিশ যায় ঘটনাস্থলে। এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। ভোটের (Panchayat Poll) আগে তৃণমূল সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। ওরা ভাবছে এসব করে মানুষকে আতঙ্কিত করবে। ভয়ে কেউ ভোট দিতে যাবে না। আর ওরা ভোট লুট করবে।
কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?
তৃণমূলের রঘুনাথগঞ্জ-১ ব্লকের সভাপতি গৌতম ঘোষ বলেন, হামলা চালানো বা বোমাবাজি করার অভিযোগ ভিত্তিহীন। আসলে জোট প্রার্থীদের এলাকায় কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। তাই, এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করে তারা খবরের শিরোনামে আসতে চাইছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours