মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। তারই প্রস্তুতি শুরু করে দিল বঙ্গ বিজেপি (Bengal Bjp)। ঢেলে সাজানো হচ্ছে জেলায় জেলায় সংগঠনকে। রবিবার ১৫টি সাংগঠনিক জেলায় সভাপতি বদল হল। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার , শিলিগুড়ি, বনগাঁ, বারাসত, দক্ষিণ কলকাতা, হাওড়া শহর, আরামবাগ, তমলুক, কাঁথি, মেদিনীপুর, বিষ্ণুপুর, আসানসোল, শিলিগুড়ি, মুর্শিদাবাদ, যাদবপুর এই ১৫ জায়গায় সভাপতি পদে নতুন মুখ আনা হয়েছে। বাকি জেলার সভাপতিরা অপরিবর্তিত থাকছেন। প্রসঙ্গত, বিজেপির ৪৩টি সাংগঠনিক জেলা রয়েছে। ২৮টি জেলায় আগের সভাপতিরা রয়ে গেলেন।
লোকসভার আগে কোনঠাসা শাসক দল তৃণমূল
লাগামছাড়া সন্ত্রাসের পরেও সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রাম সভায় বিজেপি (Bengal Bjp) ১০ হাজারের বেশি আসন জিততে সক্ষম হয়েছে। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত ভোটে বুথে বুথে যেভাবে বিজেপি কর্মীরা লড়াই দিয়েছেন তাতে খুশি কেন্দ্রের নেতারা। নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন কয়েক পরেই বঙ্গ বিজেপির (Bengal Bjp) শীর্ষ নেতৃত্বকে দিল্লিতে তলব করা হয়। রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আইন-শৃঙ্খলা সমেত লোকসভা ভোটের রূপরেখাও তৈরি করে দেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তারপরেই তেড়েফুঁড়ে নামল গেরুয়া শিবির (Bengal Bjp)। জেলায় জেলায় সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ শুরু হল। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি, সন্ত্রাস সমেত একাধিক ইস্যুতে কোনঠাসা রাজ্যের শাসক দল। প্রতিদিনই কোর্টে ভর্ৎসিত হচ্ছে রাজ্য। এই আবহে সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যজুড়ে শাসক দলের মদতে লাগামছাড়া সন্ত্রাসও সারা দেশে খবরের শিরোনামে এসেছে। সামগ্রিক এই পরিস্থিতির প্রতিফলন লোকসভা ভোটে পড়বে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
তৃণমূল বিরোধী ভোটের বড় অংশ বিজেপিতে যেতে পারে
অন্যদিকে, লোকসভা ভোটে কংগ্রেস-সিপিএম-তৃণমূলের যেভাবে আঁতাত হয়েছে জাতীয় স্তরে, তা ভালভাবে নেয়নি নিচুতলার সিপিএম এবং কংগ্রেস কর্মীরা। কারণ এখানে তাঁদেরও রোজ মার খেতে তৃণমূলের হাতে। তৃণমূল বিরোধী ভোটের বড় অংশ আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ঝুলিতে যেতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। সেদিক থেকে দেখলে কেন্দ্রীয় বিজেপির (Bengal Bjp) কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে বাংলা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours