মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটারের প্রশ্নে মেজাজ হারালেন বীরভূমের (Birbhum) তিন বারের সাংসদ তথা তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। বারংবার স্থানীয় জনতার বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন শতাব্দী (Satabdi Ray)। আজ বুধবার দুবরাজপুরে ভোটের প্রচারে গিয়ে এক কঠিন প্রশ্নের মুখে পড়ে মেজাজ হারালেন তিনি। তিনবারের সাংসদকে কাছে পেয়ে এক যুবক প্রশ্ন করে বসেন, “সাংসদ হিসেবে যদি এত কাজ করে থাকেন। তাহলে আপনার দল কেন প্রচার করছে না? প্রশ্ন শুনে রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন শতাব্দী।
কেন মেজাজ হারালেন (Birbhum)?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দুবরাজপুরের (Birbhum) বালিগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মঙ্গলপুর গ্রামের খগেশ্বরনাথ শিব মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করার কথা ছিল বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়ের। পুজো দেওয়ার পর মন্দির চত্বরে এলাকার এক ব্যক্তির সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ওই ব্যক্তি, সাংসদকে কড়া প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলেন। এরপর ক্ষণিকের জন্য প্রশ্নবাণে বেসামাল শতাব্দী এই ব্যক্তির দিকে আঙ্গুল তুলে চিৎকার করে বলে ওঠেন, “ইডিয়ট-ইডিয়ট কিচ্ছু জানে না। ইডিয়টের মত কথা বলছে।”
কী বললেন শতাব্দী?
পরে শতাব্দী (Birbhum) সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, “উনি বলছেন জলের ট্যাংকের জন্য যে টাকা দিয়েছিলেন তা রাতের অন্ধকারে ফেরত নিয়ে গেছে। এটা তো হতে পারে না। ওঁই সব টাকা ব্যাংক থেকে ট্রান্সফার হয়। যাই হোক আমি ওঁর সঙ্গে আলাদা করে পরে কথা বলে নেব।”
আরও পড়ুনঃ সবচেয়ে হালকা বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট তৈরি করে নজির গড়ল ডিআরডিও
কতবার বিক্ষোভের মুখোমুখি শতাব্দী?
প্রসঙ্গত বীরভূমে (Birbhum) তিন বারের সাংসদ চতুর্থবার প্রার্থী হয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন। কখনও রাস্তার দাবি, কখনও জলের দাবি। আবার কখনও আবার বিরোধী দলের লোকেরা তাঁকে দেখে ক্ষোভের কারণে পতাকা নেড়েছেন। যদিও শতাব্দী কখনই বিক্ষোভের কথা মানতে চাননি। তাঁর মতে মানুষ তাকে কাছে পেয়ে তাঁদের দাবি তুলে ধরেছেন। কারণ তিনি প্রার্থী এবং তিন বারের সাংসদ। তাঁর কাছে দাবি তুলে ধরবেন না তো আর কার কাছে বলবেন? ঠিক কথা কিন্তু, ১৫ বছরে যে কাজ করতে পারেননি সেতা কী আগামী পাঁচ বছরে পারবেন? উত্তর জানেন একমাত্র এই “লাল পান বিবির” নায়িকা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours