মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Birbhum) খয়রাশোলে বিস্ফোরণের ঘটনায় এবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। জানা গিয়েছে খয়রাশোলের ভাদুলিয়া কয়লাখনিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তাতে কমপক্ষে ৭ জন মারা গিয়েছে। এবার এই বিস্ফোরণকাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ চেয়ে মামলা দায়েরের জন্য আবেদন করা হয়েছিল উচ্চ আদালতে। মঙ্গলবার, প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বোমাকাণ্ডে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। এলাকার মানুষের দাবি, পূর্ণাঙ্গ তদন্তের অনুমতি দিয়ে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হোক।
লরিতে মজুত ছিল বিস্ফোরক (Birbhum)
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খয়রাশোলের (Birbhum) লোকপুর থানার ভাদুলিয়া গ্রামে একটি কয়লা খনিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এই খনিতে একটি লরিতে প্রচুর বিস্ফোরক-বারুদ ছিল বলে জানা গিয়েছে। এরপর ওই লরিতেই বিস্ফোরণ ঘটেছিল। প্রথমে দু'জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও পরে আরও ৫ জনের মৃত্যু ঘটেছে। একই ভাবে বেশ কিছু লোকজন আহত হয়েছিলেন। তাঁদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী সিউড়ি, দুবরাজপুর সহ একাধিক এলাকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। এলাকার মানুষের দাবি, খনিতে অবৈধ কাজ চলে। হয়তো কোনও বিশেষ উদ্দেশ্যের জন্য লরিতে বিস্ফোরক মজুত করা ছিল। পুলিশ এলাকায় সক্রিয় নেই বলেই দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য এতটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: সংজ্ঞাহীন অবস্থায় নির্যাতিতাকে ধর্ষণ! চার্জশিটে উল্লেখ করল সিবিআই
পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ
পুলিশ জানিয়েছে, সরকারি খাদানে বেআইনিভাবে কয়লা উত্তোলনের কাজ হচ্ছে কিনা এই বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এদিকে মৃতদের পরিবার থেকে পুলিশকে ঘেরাও করে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয়। মৃতদের পরিবারের দাবি, রাজ্য প্রশাসনকে পরিবার পিছু ৩০ লক্ষ টাকা, একটি করে বাড়ি এবং সরকারি চাকরি দিতে হবে। তবে বেশ কিছু সময় ধরে আন্দোলনের পর প্রশাসনের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেন এলাকার মানুষ। এলাকার (Birbhum) বিজেপি বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা বলেন, “কয়লাখনিগুলিতে তৃণমূলের নেতারা অবৈধভাবে দখল করে বেআইনি কাজ করছে। গোটা বাংলাকে এই ভাবে বারুদের স্তূপের উপর দাঁড় করিয়ে রেখেছে তৃণমূল। আগামী দিনে মানুষ যোগ্য জবাব দেবেন। আমাদের দাবি, এই বিস্ফোরণের পিছে যারা আছে তাদের খোঁজ করে সত্যটা প্রকাশ্যে নিয়ে আসুক এনআইএ।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours