মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ থেকে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও-এর নিদান দিয়েছিলেন মমতা-অভিষেক। এবার এই ঘটনায় হেয়ার স্ট্রিট থানায় শনিবার এফআইআর করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। অভিযোগপত্রে বিরোধী দলনেতার দাবি, তৃণমূলের ওই কর্মসূচিতে বিজেপি নেতাদের প্রাণহানি হতে পারে। এমনকি, তাঁরও। অভিযোগপত্রে তিনি মমতা এবং অভিষেকের বক্তৃতার অংশও তুলে ধরেছেন। তাঁর মতে, এই ধরনের বক্তব্য ‘ঘৃণাভাষণ’।
হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)
১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে দুর্নীতি সামনে আসায় তাতে অনুদান বন্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই ইস্যুতে আগামী ২ অক্টোবর দিল্লি অভিযানের কর্মসূচি ঘোষণা করেন অভিষেক। পাশাপাশি তিনি, আগামী ৫ অগাস্ট বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও-এর কথাও বলেন। তিনি বলেন, ‘‘সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করে রাখবেন! একদম গণঘেরাও! বাড়ির কেউ বয়স্ক থাকলে তাঁকে ছেড়ে দেবেন। আর কাউকে ঢুকতেও দেবেন না, বেরোতেও দেবেন না।’’ এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ওই কর্মসূচিতে সামান্য বদল করেন। তিনি বলেন, বুথে নয়, প্রতি ব্লকে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও হবে। তৃণমূলের এহেন কর্মসূচিকে ‘উস্কানিমূলক’ বলে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ওয়াকিবহাল মহলও বলছে, এতে নিশ্চিতভাবে হিংসা ছড়াবে। তৈরি হবে অশান্তির বাতাবরণ।
রবীন্দ্র সরোবর থানাতেও অভিযোগ দায়ের অভিষেকের বিরুদ্ধে
এই ইস্য়ুতে রবীন্দ্র সরোবর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি নেতা রাজর্ষি লাহিড়ীও। রাজর্ষির অভিযোগ, ‘‘তৃণমূলের শহিদ দিবসের সভা চলাকালীন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী ৫ অগাস্ট সকাল ১০টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত বাংলার বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাওয়ের কথা বলেন। এই বক্তব্য শুধুমাত্র গণতন্ত্র বিরোধী নয়, আইনেরও লঙ্ঘন। ভারতের পবিত্র সংবিধানে দেশের প্রতিটি নাগরিককে স্বাধীনভাবে চলাফেরার করার মৌলিক অধিকার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই ধরনের বক্তব্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে স্বীকৃত।’’ ঘটনাক্রমে অভিষেকের ঘোষণার পরেই রাজু হালদার নামে যুবমোর্চার এক কর্মীকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন রাজর্ষি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours