মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমাজুড়ে চলছে সারের কালোবাজারি। দ্বিগুণ দামে কিনতে হচ্ছে সার। ফসলের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়াহয় চাষিদের মাথায় হাত। শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়া, নকশালবাড়ি, খড়িবাড়ি ও মাটিগাড়া ব্লকে আলু, পাট, ধান সহ নানা ধরনের মরশুমি সব্জি চাষ হয়ে থাকে। শীতের নানা ধরনের সব্জি চাষ শুরু হয় এই সময়েই। এই সুযোগে প্রকাশ্যে সারের কালোবাজারি শুরু হয় গিয়েছে বলে কৃষকদের অভিযোগ।
কী বলছেন কৃষকরা? (Siliguri)
শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়ার স্বদেশ দাস, খড়িবাড়ির প্রফুল্ল বর্মন বলেন, আলু চাষের সময় ব্যবসায়ীরা সারের কৃত্তিম সঙ্কট তৈরি করেন। জোগান কম দেখিয়ে তারা দ্বিগুণ দামে সার বিক্রি করছেন। ইউরিয়ার ৪৫ কেজির বস্তায় দাম লেখা রয়েছে ২৬৬ টাকা। আমাদের ৪০০ টাকায় কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। পটাশের সরকারি নির্ধারিত দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি। এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। ফসফেটেও কালোবাজারি চলছে। সরকারি মূল্য তালিকা দেখানো হলেও সার ব্যবসায়ীরা তা মানতে চাইছে না। বেশি দামে সার কেনার পর জিএসটি সহ বিলও পাচ্ছি না আমরা। চাপাচাপি করলে আমাদের কাছে সার বিক্রি বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
কী বলছেন সার ব্যবসায়ীরা?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমার সার বিক্রেতাদের একাংশের বক্তব্য, সব জিনিসের দাম বেড়েছে। সারের প্যাকেটে যে দাম লেখা থাকে সেই দামে বিক্রি করলে আমাদের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। ক্যারিং কস্ট বহুগুণ বেড়েছে। কিন্তু, সরকার সারের দাম বাড়ায়নি। তাই বাধ্য হয়ে বাড়তি খরচ ধরে নিয়ে আমরা সার বিক্রি করছি। তাতে সামান্য কিছু টাকা বেশি দিতে হচ্ছে কৃষকদের।
প্রতিবাদ আন্দোলনে বিজেপির কিষাণ মোর্চা
বিজেপির কিষাণ মোর্চার শিলিগুড়ি (Siliguri) সাংগঠনিক জেলা কমিটির সহ-সভাপতি স্বপন কুমার বর্মন বলেন, মূলত আলু চাষ শুরুর সময় থেকে গত তিন মাস ধরে শিলিগুড়ি মহকুমা জুড়ে সারের কালোবাজারি চলছে। আলুর সঙ্গে এই সময় কপি সহ শীতের নানা ধরনের সব্জি চাষ শুরু হয়। এই চাহিদার জন্য এসময় সারের কালোবাজারি শুরু হয়। এতে কৃষকের নাভিশ্বাস অবস্থা। আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে ফাঁসিদেওয়া ও খড়িবাড়ি ব্লকের বিডিওকে স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু কোনও সাড়া মেলেনি। প্রশাসন ঘুমিয়ে রয়েছে। রাজ্য সরকারের বিষয়টি কেন দেখছে না বুঝতে পারছি না।
কী বলছে প্রশাসন?
শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমার দায়িত্বে থাকা কৃষি দফতরের যুগ্ম আধিকর্তা পার্থ রায় বলেন, আমাদের কাছে সারের কালোবাজারি নিয়ে কোনও কৃষক লিখিতভাবে অভিযোগ করেনি। তবুও, আমরা প্রতিটি জায়গায় নজর রেখেছি। নিয়মিত অভিযান চলছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours