TET Scam: দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রাথমিকে ২০০৯ প্যানেলের ১৬৩২ জনকে নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের

বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দেয়, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে ২০০৯ সালে প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।
high_court
high_court

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০৯ সালের প্যানেলের ১৬৩২ শূন্যপদে নিয়োগে সবুজ সংকেত দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। নিয়োগ (TET Scam) হবে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas)। দু’সপ্তাহের মধ্যে পদক্ষেপের নির্দেশ বিচারপতির। ২০০৯ সালে নেওয়া হয় লিখিত পরীক্ষা। কিন্তু তার পরও ২০১১ সালে বাতিল ঘোষণা হয় সেই প্যানেল।   

বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দেয়, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে ২০০৯ সালে প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। উত্তর ২৪ পরগনা, মালদা এবং হাওড়ার মতো দক্ষিণ ২৪  পরগনা জেলার ২০০৯ সালের চাকরিপ্রার্থীদের ক্ষেত্রেও একই ধরনের পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ।

২০০৯ সালের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে তৈরি নিয়োগ তালিকা প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদালত জানিয়েছে, যাঁদের প্যানেলভুক্ত করা হয়েছে, তাঁদের নাম প্রকাশ করতে হবে। তা না হলে মামলাকারীরা জানতে পারবেন না তাঁদের অবস্থান।

কী অভিযোগ?

এর আগে এই প্যানেলে গুরুতর বেনিয়ম হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়ে আদালত আগেই পদক্ষেপ নিয়েছিল। সেই অনুযায়ী, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া ও মালদা জেলা আগেই নির্দেশ মতো নিয়োগ করেছে। কিন্তু দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নিয়োগ বাতিল করা হয়। সেই প্যানেলের ভিত্তিতেই দু’সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগ শুরু করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন: গরুপাচার মামলা যোগ, অনুব্রতর জামাইবাবুকে শুক্রবার দিল্লিতে তলব ইডির

মামলাকারীদের আইনজীবী কমলেশ ভট্টাচার্য বলেন, "২০০৯ সালে রাজ্যজুড়ে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয়৷ ২০১২ সালে চারটি জেলার প্যানেল বাতিল করে দেওয়া হয়৷ বেআইনি ভাবে প্যানেল তৈরি হয়েছে, এই অভিযোগে তা বাতিল করা হয়েছিল৷ আবার পরীক্ষার মাধ্যমে নতুন প্যানেল তৈরি হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু সেই পরীক্ষার ফল আজও প্রকাশিত হয়নি৷ এই অভিযোগেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা।" 

এক চাকরিপ্রার্থী অরিন্দম মণ্ডল বলেন, "আদালতের রায়ে তাঁরা খুশি৷ আদালতের নির্দেশ মেনে তাঁদের নিয়োগ করার জন্য সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা৷"  

অন্যদিকে, ২০১৪-র টেট চাকরিপ্রার্থীদের ৪০ দিনের ধরনার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, গান্ধিমূর্তির সামনে ধরনায় বসতে পারবেন চাকরিপ্রার্থীরা। বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, বুধবার রাতে ৩০জন প্রার্থীর নামে ৩৫৩, ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯ -সহ আরও বেশ কিছু ধারায় মামলা করা হয়েছে। আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles