Calcutta High Court: স্কুলে অবিলম্বে শরীরচর্চা ও এনসিসি চালু করতে হবে, নির্দেশ হাইকোর্টের

Calcutta High Court: গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনিং থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাত্র-ছাত্রীদের কখনই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বঞ্চিত করতে পারে না, এমনটাই পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের।
calcutta__(1)
calcutta__(1)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলে যোগব্যায়াম, শরীরচর্চা এবং এনসিসির মত গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনিং অবিলম্বে চালু করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। নির্দিষ্ট একটি স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং পরিচালন কমিটির বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের ট্রেনিং থেকে বঞ্চিত করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এইসব গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনিং থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাত্র-ছাত্রীদের কখনই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বঞ্চিত করতে পারে না, এমনটাই পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের। এই সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে এমনটাই জানিয়েছেন, বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়। আজ আদালতের তরফে এই সমস্ত ট্রেনিং চালু করার নির্দেশ দেওয়া হল।

কী ঘটেছিল?

হুগলির ভদ্রেশ্বরের তেলেনিপাড়া হাইস্কুলে ২০০৮ সাল থেকে এনসিসির ট্রেনিং ভালোভাবেই চলছিল। কিন্তু ২০১১ সালের সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর থেকে এই ট্রেনিংগুলো কেমন যেন উধাও হয়ে যায়। কেন্দ্রের সরকার পরিবর্তন হয়। এরপর মোদি সরকার ক্ষমতায় আসে৷ কেন্দ্র সরকার যোগব্যায়াম, শারীরশিক্ষা, স্বাস্থ্য সচেতনতার উপরও জোর দেওয়া বাধ্যতামূলক করেছিল। এই মর্মে সমস্ত রাজ্যগুলিতে নির্দেশিকা পাঠায় কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। পশ্চিমবঙ্গেও সেই নির্দেশিকা কেন্দ্রের তরফে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রের ওই নির্দেশিকা রাজ্যের বেশ কিছু স্কুল বিরোধিতা করে এনসিসির ট্রেনিং দেওয়ার ক্ষেত্রে অনীহা প্রকাশ করে। যার মধ্যে অন্যতম তেলেনিপাড়া ভদ্রেশ্বর হাইস্কুল রয়েছে। অভিযোগ, স্কুল পরিচালন কমিটি জানিয়ে দেয়, স্কুলে কোনও এনসিসি হবে না।

হাইকোর্টে মামলা এনসিসি শিক্ষকের

এরপর স্কুলের এনসিসির শিক্ষক দিব্যেন্দু বিশ্বাস আবেদন করেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং ডিআইকে। তাতেও টনক নড়েনি স্কুল কর্তৃপক্ষের। পরে সমস্ত অভিভাবকরা এবং এনসিসির শিক্ষক স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং হুগলির বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে সেই অভিযোগ পেয়ে ডিআইকে নির্দেশ দিলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ এনসিসির প্রোগ্রাম চালু করতে দেয়নি বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সুস্বাস্থ্যের কথা ভেবে এনসিসির শিক্ষক দিব্যেন্দু বিশ্বাস কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।

এরপরেই বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের এজলাসে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। মামলাকারী পক্ষের আইনজীবী আশিস চৌধুরী আদালতে জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষ এভাবে এনসিসি ট্রেনিং বন্ধ করে দিয়ে পড়ুয়াদের প্রতি অবিচার করছে। তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।

এই নিয়ে বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায় স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতিকে কলকাতা হাইকোর্টে তলবও করেন। কিন্তু হাইকোর্টের সেই নির্দেশ পালন করেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং তারা আদালতেও হাজিরা দেননি। এরপরেই ক্ষুব্ধ বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, হুগলির বিদ্যালয় পরিদর্শকের নির্দেশ মেনে অবিলম্বে কর্তৃপক্ষকে এনসিসি চালু করতে হবে ওই স্কুলে।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles