Calcutta High Court: “ক’জন ভিআইপি ভর্তি? কী কী সুবিধা পাচ্ছেন?’’ এসএসকেএমের জবাব চাইল হাইকোর্ট

অন্য বিপাকে পড়েছেন কালীঘাটের কাকু এবং এসএসকেএম, কেন জানেন...?
calcutta_highcourt
calcutta_highcourt

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে, ‘গায়ে নোংরা মাখলেও যম ছেড়ে কথা বলে না’! নিয়োগ কেলেঙ্কাকারিতে অভিযুক্ত ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর হয়েছে সেই দশা। অভিযোগ, ইডিকে কণ্ঠস্বরের নমুনা দেবেন না বলে মাসের পর মাস পড়েছিলেন রাজ্যের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএম হাসপাতালের বেড দখল করে। শেষমেশ বুধবার রাতে কণ্ঠস্বরের নমুনা মেলে ‘কাকু’র।

কী বলল আদালত?

তার পরেই বিপাকে পড়েছেন কাকু এবং এসএসকেএম। কোনও একজন কীভাবে দিনের পর দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকতে পারেন, প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta high court) প্রধান বিচারপতির। এ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, “সংশোধনাগারের নিজেদের একটি হাসপাতাল থাকে। যখন সেই হাসপাতাল চিকিৎসা করতে ব্যর্থ হয়, তখনই তাঁকে সংশোধনাগারের অধীনে কোনও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তার মানে এই নয়, ওই ব্যক্তিকে পাঁচ-ছ’ মাস হাসপাতালে ভর্তি করে রাখা হবে। সেটা অবশ্য নির্ভর করবে চিকিৎসকদের ওপর। এক্ষেত্রে আদালত কী করবে? তবে দিনের পর দিন হাসপাতালের বেড দখল করে রাখা ঠিক নয়।”

'প্রভাবশালীরা কী কী সুবিধা পান?'

এ বিষয়ে এসএসকেএম হাসপাতালের ডিরেক্টরকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশও দেয় আদালত (Calcutta high court)। প্রধান বিচারপতি বলেন, “হাসপাতালে ভর্তি প্রভাবশালীরা কী কী সুবিধা পাচ্ছেন, তাঁদের শারীরিক অবস্থা কী রকম এই সব কিছু জানাতে হবে রিপোর্টে। একই সঙ্গে বলতে হবে এঁদের তুলনায় অন্য রোগীদের কী কী সুবিধা দেওয়া হয়।” প্রধান বিচারপতি জানতে চান, কতজন প্রভাবশালী ওই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন? ১০ জন হবে? কেন তাঁদের তিন-চার মাস ধরে হাসপাতালে রাখা হয়েছে?

এদিকে, এদিন এসএসকেএমের হৃদরোগ বিভাগের তরফে আদালতে যে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, ‘কাকু’র তেমন কোনও অস্বাভাবিকতা নেই। তবে সুস্থ থাকার জন্য তাঁকে দিনে আট রকমের ওষুধ খেতে হয়।

আরও পড়ুুন: "অভিষেক নাদান, কুণাল ননসেন্স!" মমতার পাশে দাঁড়িয়ে আক্রমণ তৃণমূল বিধায়কের

অন্যদিকে, জোকা ইএসআই হাসপাতালে ‘কাকু’র গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার পরেই বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁর আইনজীবী। ‘কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বেঞ্চকে (Calcutta high court) তিনি বলেন, “সুজয়কৃষ্ণকে মামলায় যুক্ত না করেই কণ্ঠস্বর পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যা দেওয়া যায় না।” তাই কাকুর মামলাটি বেঞ্চ আদৌ গ্রহণ করবে কিনা, তা নিয়েই রয়েছে ধন্দ।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

 
 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles