মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলার তদন্তে নেমে বীরভূমের সিউড়ি সমবায় ব্যাঙ্কে তিনশোর বেশি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেয়েছিল সিবিআই। গরুপাচারের কালো টাকা সাদা করার কাজে ব্যবহার করা হতো ওই অ্যাকাউন্টগুলি। সেই মামলার তদন্ত করতে গিয়েই এবার অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) পরিচারকের ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট ফ্রিজ করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)।
টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন
সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে অনুব্রত মণ্ডলের পরিচারকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অনুব্রতর ওই পরিচারকের নাম বিজয় রজক। তাঁর অ্যাকাউন্টে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা রয়েছে। কিন্তু এই টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তদন্তকারী আধিকারিকদের মনে। ওই টাকার উৎস কী? কিভাবে এল তা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত।
সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রতর পরিচারক হিসেবে মাসে মাত্র কয়েক হাজার টাকা আয় হলেও ওই ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে। এমন কি, এখনও ওই অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা রয়েছে৷ গরুপাচারের টাকাই এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লেনদেন করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। কারা কারা এই টাকা নিতেন এবং কোথায় সেই টাকা গুলি যেত সেটাকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তদন্তকারীদের অনুমান পরিচারকের পরিচয়পত্র দিয়ে এই অ্যাকাউন্ট খুলে গরু পাচারের টাকা কেষ্টর নির্দেশেই লেনদেন করা হত। এত টাকার লেনদেন রজতের আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন বলে মনে করছে সিবিআই। ওই অ্যাকাউন্ট থেকে যাতে কোনও টাকা তোলা না যায় বা অন্যত্র সরানো না যায়, বীরভূমের সিউড়ির সমবায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে সেই নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷
আরও পড়ুুন: পনির ছাড়াই, বাটার মশালা! নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ফের সিবিআইকে তোপ আদালতের
এর আগে একাধিক ভুয়ো অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সিউড়ি সমবায় ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন যে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই এই অ্যাকাউন্ট গুলো খোলা হয়েছিল। যাঁদের নামে অ্যাকাউন্টগুলি খোলা হয়েছে তাঁরা কেউ জানেন না তাঁদের নামে রয়েছে অ্যাকাউন্ট। পঞ্চায়েত অফিসে আধার কার্ড জমা দিয়েছিলেন তাঁরা। সেই আধারকার্ড দেখিয়েই অ্যাকাউন্টগুলি খোলা হয় বলে মনে করা হচ্ছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours