মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali) সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার করা হয়েছে চায়ের দোকানদার সইফুদ্দিন মোল্লাকে। তাকে আজ বসিরহাট আদালতে পেশ করে গোপন জবানবন্দী নেওয়ার আবেদন করলেন সিবিআই আধিকারিকরা। উল্লেখ্য এই মামলায় প্রধান অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকে আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্তভার যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে। এরপর একাধিক শাহজাহান অনুগামী এবং দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সইফুদ্দিনকে বসিরহাট মহকুমা কোর্টে তোলা হয় (Sandeshkhali)
সন্দেশখালি (Sandeshkhali) কাণ্ডে সরবেড়িয়ায় প্রথমে আটক করা হয় এবং পরে বক্তব্যে অসামঞ্জস্য থাকায় গ্রেফতার করা হয় চায়ের দোকানদার সইফুদ্দিন মোল্লাকে। ইডির তদন্তকারী অফিসারদের উপর আক্রমণ এবং এলাকায় বিশৃঙ্খলা তৈটি করার অভিযোগ ছিল তার উপরে। একই সঙ্গে শেখ শাহজাহান ঘটনাস্থল থেকে পালাতে সাহায্য করেছিল এই অভিযুক্ত ব্যক্তি। সিবিআই আধিকারিকেরা তাই গ্রেফতারের পর বসিরহাট মহকুমা আদালতের নিয়ে যান তাকে। তার ১৬৪ গোপন জবানবন্দী দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়। সেই সঙ্গে নেজাট থানার পুলিশ আরও সাতজনকে গ্রেফতার হয়েছিল। তারা এখন সবাই সিবিআই হেফাজতে রয়েছে। তাদের সঙ্গে এই সইফুদ্দিনের কোনও যোগসূত্র ছিল কীনা সেটা তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন।
আরও পড়ুনঃ রাম নবমীর ছুটি দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ সুকান্তর, হল যোগদানপর্ব
৫ জানুয়ারি হামলা হয়েছিল
রেশন দুর্নীতি তদন্তে আগেই প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ বাকিবুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে কয়েক হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে একাধিক সম্পত্তি। এবার এই রেশন দুর্নীতি মামলায় আর্থিক লেন-দেনের যোগ সূত্র মিলেছে শেখ শাহজাহানের সঙ্গে। প্রয়োজনীয় তথ্য মেলায় সন্দেশখালির (Sandeshkhali) সরবেড়িয়ার বাড়িতে তাল্লাশি করতে গেলে ইডির অফিসারদের উপর আক্রমণ করা হয়। তিন জন তদন্তকারী অফিসারের মাথা ফাটানো হয়। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর আক্রমণ করে গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এরপর থেকে পালাতক হন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। ঘটনার ৫৬ দিনের মাথায় পুলিশ গ্রেফতার করে তাঁকে। এরপর পর কোর্টের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্ত ভার নেয় সিবিআই। গোটা ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি ব্যাপক উত্তাল হয়ে উঠেছিল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours