TMC: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সিবিআইয়ের তলব তৃণমূল নেতা সুজিত বসুকে, ফাঁসতে পারেন মন্ত্রী?

মন্ত্রী হওয়ার আগে ২০১৬ সালে সুজিত ছিলেন দক্ষিণ দমদম পুরসভার উপপ্রধান...
sujit_f
sujit_f

মাধ্যম বাংলা ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সিবিআইয়ের আতস কাচের তলায় রয়েছেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের (TMC) অনেকেই। সেই সূত্রেই এবার সিবিআই তলব করল তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুকে। ৩১ অগাস্ট বেলা ১১টা নাগাদ নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁকে। এ ব্যাপারে সিবিআইয়ের তরফে ইতিমধ্যেই সুজিতকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

সিবিআইয়ের তল্লাশি

পুর নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। তাতে বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে অয়ন শীলকে। তাঁর বাড়ি থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১৪টি পুরসভায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। সেই সূত্রেই ডেকে পাঠানো হয়েছে সুজিতকে। কারণ মন্ত্রী হওয়ার আগে সুজিত (TMC) ছিলেন দক্ষিণ দমদম পুরসভার উপপ্রধান। ২০১৬ সালে ওই পদে ছিলেন তিনি। সেই সময় নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছিল বলে অনুমান সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকদের।

সিবিআইকে কী জানালেন অয়ন?

১৯ মার্চ গ্রেফতার হন অয়ন। ইডির দাবি, অয়নের সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে রাজ্যের একাধিক পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট উদ্ধার হয়। ইডি সূত্রে খবর, জেরায় অয়ন তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, বিভিন্ন পুরসভায় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে তিনি মোট ২০০ কোটি টাকা তুলেছিলেন। পুরসভায় নিয়োগ কেলেঙ্কারির শেকড়ে পৌঁছতে সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। সেখানেও খারিজ হয়ে যায় রাজ্যের আর্জি। বহাল থাকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সিবিআই তদন্তের নির্দেশই।

আরও পড়ুুন: ‘‘আমরা পৃথিবীতে সংকল্প নিয়েছি, আর চাঁদে তা সফল করেছি’’, বললেন মোদি

এদিকে, সম্প্রতি ফের (TMC) নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে ইডি। সোম ও মঙ্গলবার তারা হানা দিয়েছিল নিউ আলিপুরে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে। ইডির দাবি, এই সংস্থার সিইও ছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ডিরেক্টর ছিলেন কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। সুজয়ের মেয়ে-জামাইয়ের ফ্ল্যাটেও চালানো হয়েছে তল্লাশি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিবিরহাটের সাজুয়া এলাকায় প্রাক্তন জেলা সভাধিপতি তৃণমূলের শামিমা শেখের স্বামী ও তৃণমূল নেতা রমজান শেখের আবাসন প্রকল্পেও হানা দিয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles