Chinese Scientists: চাঁদের মাটির নমুনায় জলের উপস্থিতি! নিশ্চিত করল চিনা বিজ্ঞানীরা

Water In Lunar Soil: চাঁদের বুকে এবার জলের হদিশ! হাতেকলমে মিলল প্রমাণ
WhatsApp_Image_2024-08-03_at_202.18_PM
WhatsApp_Image_2024-08-03_at_202.18_PM

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদের বুকে এবার জলের খোঁজ (Water In Lunar Soil) মিলল। চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস (CAS) অনুসারে, চিনের চন্দ্রযান চাং'ই ৫ (Chang'e 5) অভিযান থেকে আনা নমুনায় চাঁদের বুকে জলের অণুর খোঁজ পেয়েছেন চিনের বিজ্ঞানীরা (Chinese Scientists)। চাঁদের বুকে পাথরের নীচে জলের অণু চাপা পড়েছিল বলেই তাদের অনুমান। এই প্রথম হাতেকলমে চাঁদের বুকে জলের অস্তিত্বের খোঁজ মিলল। চাঁদ থেকে আনা নমুনা পরীক্ষা করে যা মিলেছে, সেই গবেষণাপত্র সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে 'নেচার অ্যাস্ট্রোনমি' (Nature Astronomy) জার্নালে। 

ঠিক কী জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা? (Chinese Scientists)

মঙ্গলবার চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস জানিয়েছে, ২০২০ সালে চাং'ই ৫ মিশন থেকে নিয়ে আসা চাঁদের মাটির নমুনার উপর ভিত্তি করেই চিনা বিজ্ঞানীরা একটি হাইড্রেটেড খনিজ খুঁজে পেয়েছেন। চাঁদের মাটি নিয়ে পরীক্ষা করা চিনা বিজ্ঞানীরা ১,০০০টিরও বেশি খনিজ পদার্থ নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন। গবেষকরা বলেছেন, ''এইসব খনিজ পদার্থের মধ্যে একটি স্বচ্ছ পদার্থ ছিল, যাকে "অজানা চন্দ্র খনিজ" (ULM-1) বলা হয়েছে, এর মধ্যেই জলের অণু রয়েছে।''

মিলেছে অ্যামোনিয়ার খোঁজও

গবেষণাপত্রে আরও বলা হয়েছে, চাঁদের বুকে যেখানে সরাসরি সূর্যের আলো পড়ে, সেখানেও জলের অণুগুলি লবণের আকারে বিরাজ করে। শুধু জলের অণুই নয়, চাঁদের মাটি থেকে সংগ্রহ করে আনা পাথরের টুকরোর মধ্যে অ্যামোনিয়ার খোঁজও পেয়েছেন চিনা বিজ্ঞানীরা (Chinese Scientists), যা রকেট জ্বালানির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজ্ঞানী (Chinese Scientists) বলেছেন, ''আমি আশা করেছিলাম এই গবেষণায় চাঁদের মাটিতে জলের অস্তিত্বের (Water In Lunar Soil) প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যাবে। যদি এই জল বহনকারী খনিজটি চাঁদের নমুনায় থাকে, তবে চাঁদের মাটিতে এমন একাধিক টুকরো পাওয়া উচিত।'' 

আরও পড়ুন: মোদি জমানায় ইউপিএ-র তুলনায় অনেক বেশি কর্মসংস্থান হয়েছে রেলে, দাবি অশ্বিনী বৈষ্ণবের

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০০৯ সালে, ভারতের চন্দ্রযান-১ চাঁদের সূর্যালোক অঞ্চলে অক্সিজেন এবং হাইড্রোজেন, অণুর আকারে হাইড্রেটেড খনিজের সন্ধান পেয়েছিল। এর পরেই নাসা মুন মিনারোলজি ম্যাপার (M3) ও একটি ইমেজিং স্পেকট্রোমিটার দিয়ে চাঁদে খনিজ পদার্থে জলের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছিল। যদিও সেবার হাতে কলমে কোনও প্রমাণ মেলেনি। এরপরেই চাঁদের মাটি থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আনতেই অভিযান চালায় চিন।
 
 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles