মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তাল বালির নিশ্চিন্দা থানার কালিতলা সাহেববাগান বাগান এলাকা। ব্যবসার বখরা নিয়ে প্রথমে দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলার শুরু হয়, এরপরে জল গড়ায় হাতাহাতি, মারামারি এবং ভাঙচুর পর্যন্ত। এই সংঘর্ষ থামাতে এলাকায় পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে উত্তেজনা থামাতে বেলুর, লিলুয় থানার পুলিশকেও মাঠে নামতে হয়। ইতি মধ্যে ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে ৪২ জন। এলাকাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয়েছে বিশাল র্যাফ বাহিনী।
কিভাবে ঘটল ঘটনা (TMC)?
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালিতলা-সাহেব বাগান এলাকার তিন তাবড় তৃণমূল (TMC) নেতাদের মধ্যে হলেন, খোকন গায়েন, ষষ্ঠী গায়েন এবং অসিত গায়েন। তিনজনেই বিশেষ সম্পর্কে ভাই তাঁরা। মূল বিবাদ হয় খোকন-ষষ্ঠীর সঙ্গে অসিতের। সোমবার ঠিক সন্ধ্যার সময় ব্যবসার বখরা নিয়ে প্রথমে মিটিং হয়। এরপর এক গোষ্ঠী অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক হয়ে পড়ে। শুরু হয় ব্যাপক হাতাহাতি। অসিত নিজে দারুণ ভাবে আহত হন এবং তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সূত্রে আরও জানা গেছে ঘটনার জেরে এক পানশালায় ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। সেখানে আসা অনেক মানুষ আক্রান্ত হন বলে জানা গেছে। ষষ্ঠী গায়েন বলেন, “আমি বিষয় সম্পর্কে কিছু জানিনা। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।”
পুলিশের ভূমিকা
এলাকায় তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে উত্তেজনা ছড়ালে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আশে পাশের থানা থেকেও প্রচুর পুলিশ নামানো হয়। ৪২ জনকে এই ঘটনায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাতের উত্তেজনা কমলেও, মঙ্গলবার সকলে ফের আক্রান্ত গোষ্ঠীর মহিলারা অপর পক্ষের বাড়িতে হামলা করে। পরিস্থিতিকে ক্ষতিয়ে দেখতে এলাকায় পৌঁছান তৃণমূল বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ।
বিধায়কের বক্তব্য
ডোমজুড়ের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, “পুলিশ এলাকায় ভালো করে কাজ করছে না। সমাজ বিরোধীরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। এখানে প্রার্থী হয়েছিল অসিত গায়েন। বিজেপির চক্রান্তে এখানে এই গোলমালের ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসনকে বলব দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তি দিক।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours