মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাস কয়েক শান্ত থাকার পর ফের অশান্তির আগুন লিবিয়ার (Libya Clashes) রাজধানী ত্রিপোলিতে। দু’ পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন শতাধিক। লিবিয়ার এমার্জেন্সি সার্ভিসেসের তরফে জানানো হয়েছে, সব মিলিয়ে সংর্ঘষে জখম হয়েছন ১০৬ জন।
আটক হামজা
জানা গিয়েছে, ৪৪৪ ব্রিগেডের কমান্ডার মহম্মদ হামজা ত্রিপোলির মিটিগা এয়ারপোর্টের মধ্যে দিয়ে অন্যত্র যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তাঁকে সেখানেই আটক করা হয়। এর পরেই সংঘর্ষ শুরু হয় দু পক্ষে। ৪৪৪ ব্রিগেডের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী স্পেশাল ডিটারেন্স ফোর্স। এই ফোর্সই রয়েছে এয়ারপোর্টের দায়িত্বে। হামজাকে আটক করে এরাই। তার পরেই রাজধানীতে জ্বলে অশান্তির আগুন। তবে কেন হামজাকে আটক করা হল, তা জানা যায়নি। সোমবার শুরু হওয়া ওই সংঘর্ষে ইতি পড়ে মঙ্গলবার রাতের দিকে। রাষ্ট্রসংঘ স্বীকৃত গভর্নমেন্ট অফ ন্যাশনাল ইউনিটির সঙ্গে চুক্তির পরেই থামে সংঘর্ষ। এই চুক্তি অনুযায়ী, হামজাকে একটি নিরপেক্ষ রাজনৈতিক দলের হাতে হস্তান্তরিত করা হবে। রাতভর সংঘর্ষের জেরে এদিনও ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। চলতি বছরে লিবিয়ায় সব চেয়ে ভয়ঙ্কর সংঘর্ষ এটি।
সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি
চুক্তি অনুযায়ী, আপাতত ত্রিপোলিতে কোনও সামরিক অভিযান চালানো (Libya Clashes) হবে না। সেনাদের ব্যারাকে ফিরে আসতে বলা হয়েছে। জনগণ এবং ব্যক্তিগত সম্পত্তির ক্ষতির পরিমাণ কত, তা জানার চেষ্টা হবে বলেও চুক্তিতে বলা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানার পরেই সরকারের তরফে দেওয়া হবে ক্ষতিপূরণ। লিবিয়ায় চলছে ইউনাইটেড নেশনস সাপোর্ট মিশন। মঙ্গলবার এই মিশনের তরফে বলা হয়েছে, ত্রিপোলির সংঘর্ষের ঘটনার প্রভাব সাধারণ মানুষের ওপর কতটা, তা জানার চেষ্টা চলছে। মিশন মনে করিয়ে দিতে চায়, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সংঘর্ষ রুখতে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের ভূমিকা কী হওয়া উচিত।
আরও পড়ুুন: “আমি ভারতীয়, এই দেশ আমারও”, তিরঙ্গা উড়িয়ে বললেন জঙ্গির দাদা বশির
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে স্বৈরশাসক মুয়াম্মর গদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে সংঘর্ষ লেগেই রয়েছে লিবিয়ায়। শেষবার সংঘর্ষ হয়েছিল চলতি বছরের মে মাসে। ৪৪৪ ব্রিগেডের এক সদস্যকে গ্রেফতার করার পরে দু পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ (Libya Clashes) হয়েছিল বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে। তারপর ফের হল এদিন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours