মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রস্তুতি হিসেবে মালদহ জেলায় শাসক দলের নেতারা বুথে বুথে যোগ্য প্রার্থীর (Candidate) খোঁজে বৈঠক শুরু করেছেন। আর এই সব বৈঠকেই তৃণমূলের কোন্দল একেবারেই সামনে চলে আসছে। কয়েকদিন আগেই মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের থানাপাড়া বুথ কমিটির তৃণমূলের বৈঠকে প্রার্থী (Candidate) ঠিক করা নিয়ে দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসে। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই বুধবার রাতে মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের হরিশ্চন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকায় শিব মন্দির বুথে দলীয় দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। প্রার্থী (Candidate) বাছাইকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। নিজেদের মধ্যেই বচসা এবং হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল কর্মীরা। কর্মীরা উপস্থিত নেতৃত্বের দিকে রীতিমতো তেড়ে যান। দলীয় নেতৃত্বকে পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়।
প্রার্থী ঠিক করা নিয়ে ঠিক কী হয়েছিল? Candidate
বুধবার রাতে তৃণমূলের বুথ কমিটির বৈঠক ছিল। উপস্থিত ছিলেন, তৃণমূল হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের সভাপতি মোশারফ হোসেন, ব্লকের সহ- সভাপতি সাগর দাস, হরিশ্চন্দ্রপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সঞ্জীব গুপ্তা সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। সেখানেও এবার পঞ্চায়েতে কে প্রার্থী (Candidate) হবে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।এই বুথে প্রার্থী হিসেবে উঠে আসে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী নন্দ রজক, উত্তম ভাস্কর এবং নব মণ্ডলের নাম। এই তিন জনের মধ্যে মূলত নন্দ রজক এবং উত্তম ভাস্করকে প্রার্থী (Candidate) করার জন্য জোরালো দাবি উঠতে থাকে। দুইজনের অনুগামীদের মধ্যে শুরু হয় বচসা। বচসা থেকে হাতাহাতি। উত্তেজিত তৃণমূল কর্মীরা তেড়ে যায় উপস্থিত নেতৃত্বের দিকে। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। নন্দ রজকের অনুগামী মিলন কর্মকার বলেন, দলীয় প্রার্থী (Candidate) হিসেবে নন্দ রজক যোগ্য। তাই, তাঁকে দলের পক্ষ থেকে প্রার্থী করতে হবে। আমরা দলীয় নেতৃত্বের কাছে সেই দাবি জানিয়েছি। উত্তম ভাস্করের অনুগামী বাসন্তী দাস বলেন, বহু বছর ধরে আমি দল করছি। কেউ কিছু দেয়নি। শেষবারের মতো আমি উত্তমকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাই। কারণ, উত্তম ভোটে জিতলে এলাকায় উন্নয়ন হবে। ও সব সময় গ্রামবাসীদের পাশে থাকে। তাই, এবার আমরা ওকে প্রার্থী (Candidate) হিসেবে চাইছি।
যদিও এই ঘটনার মধ্যে শুভ সংকেত দেখছে তৃণমূল নেতৃত্ব। হরিশ্চন্দ্রপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সঞ্জীব গুপ্তা বলেন, আসলে দল বড় হয়েছে, তাই এক বুথে একাধিক দাবিদার। এটা মানুষের মমতা ব্যানার্জির প্রতি ভালোবাসার উত্তেজনা। দলীয় কোনও কোন্দলের বিষয় নয়। আর কোনও কর্মী তেড়ে আসেনি। তাঁরা আমাদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। বিজেপির উত্তর মালদহ সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক রূপেশ আগরওয়াল বলেন, তৃণমূল দলে অনুশাসন বলে কিছু নেই। এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। আগামী পাঁচ বছর ধরে কে লুটেপুটে খাবে তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি চলছে। ওদের দলে এসব ঘটনা যত হবে, তত ওরা মানুষের থেকে দূরে চলে যাবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours